নওগাঁ মান্দা কাশোপাড়ায় শ্যালকের স্ত্রীকে নিয়ে দুলাভাই উধাও এর ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্যেও পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীর আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথেই পরকীয়া করেন। একপর্যায় ঘর ছেড়ে উধাও হন দু’জন মিলে। একসাথে ছিলেন প্রায় নয় মাস। এরপর হানায় দেন পুলিশের । পুলিশ হানা দেয় দুলাভাইয়ের হাত ধরে উধাও হওয়া ভাবীর স্বামীর মামলায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঁশোপাড়া এলাকায় সবার মুখে মুখে এই বিষয়ে আলোচনায় ঝড় বয়ছে।।
ছোট দুলাভাইয়ের সাথে স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন তার স্বামী। এরপর কেটে যায় প্রায় নয় মাস। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়। শনিবার দুপুরে মান্দা থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভিক্টিমকে উদ্ধারের পর শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর আসামিকে গ্রেফতারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, উপজেলার দারাজ উদ্দিনের মেয়ের সাথে একই উপজেলার কাশোঁপাড়া গ্রামের আমেদ আলী শাহানার ছেলে আবজাল হোসেন শাহানার বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। তাদের ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। এ দিকে আবজাল সমন্ধির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায় তারা দু’জনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর দু’জনে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থেকে সংসার করেন প্রায় নয় মাস। এ সময় আবজাল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
পুলিশ জানায়, ঘর ছাড়া গৃহবধূর স্বামী বেলাল গত বছরে ২৭ সেপ্টেম্বর থানায় তার বোনজামাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিব দীর্ঘ দিন তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সফল হন। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ‘ভিক্টিমকে’ উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিক্টিমকে উদ্ধার ও আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূকে নওগাঁ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন