কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ মহেশখালীতে 'আরাঁ মধুখাইল্যা' সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে (শুক্রবার) দুপুর ২টায় কালারমারছড়া ইউনিয়নে অফিস পাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। " মধুখালিবাসী এক হও ভুলে যাও সকল দ্বন্দ্ব, হাতে হাত রেখে ঘুরে দাঁড়াও হঠাও সকল মন্দ " এ স্লোগান সামনে রেখে উক্ত পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা উদ্ভোদন করা হয়।
এসময় মহেশখালী মধুখালী জনগোষ্ঠীর সকল পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উক্ত আলোচনায় উঠে আসে মধুখালির অতীত ঐতিহ্য ও বাপ দাদার ঐতিহাসিক ইতিহাস। ৩০-৩১ অক্টোবর ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের হয়। ঘন্টায় ২১৯ কিমি গতির তীব্রঝড়ো বাতাসসহ প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে মহেশখালীর নিম্ন অঞ্চল এলাকায়।জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে মধুখালী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ চলে আসে মধুখালি থেকে কালারমারছড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায়।
আনোয়ার পাশা শিমুল ও সাংবাদিক জুয়েল চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কৃষি অফিসার মাস্টার কাইছার উদ্দিন। উক্ত সভাকে তিনভাবে ভাগ করে ১ম, ২য় ও ৩য় অধিবেশনে তিন গোষ্ঠীর তিন সদস্য মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ মঈনুদ্দিন ও হাফেজ শফিউল আলমের কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রতিটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন- শাহ্ মজিদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন- হাটহাজারী নজুমিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম রহিম মুল্লুকের কনিষ্ঠ পুত্র মাস্টার শফিউল আলম শফি, প্রধান মেহেমান- বিশিষ্ট ব্যাংকার আব্দু সালাম, বিশেষ অতিথি- জাফর আহমদ, মাস্টার আবুল কাশেম, হাছন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান ডাঃ নুরুল আলম, নজির আহমদ কোং, মাওঃ মাহবুবুল আলম, মোঃ বকসু, করিম বকসু, তবারক কোম্পানি, সেকান্দর আলী, আলী আক্কাস ও মোঃ জকরিয়া প্রমূখ।
বক্তব্য রাখেন- আবুল কাশেম কালাবদা, নুরুল আলম টিপু, মাস্টার ইউনুচ বাহার, মাস্টার জহিরুল ইসলাম, সুজন বীমার ডিজিএম সরওয়ার কামাল, এনামুল হক বাদশা, আব্দু শুক্কুর, জাকের হোছাইন, মাস্টার নুরে তজল্লী, ওমর ফারুক, আবু আহমদ, বাকি বিল্লাহ, আব্বাছ উদ্দিন, আরিফ উল্লাহ, হুবাইব বাবুল, শামসুল আলম পিংকী ও ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর প্রমূখ।
এসময় বক্তরা বলেন, মধুখাইল্যা নামক জায়গায় বসবাসরত পূর্ব পুরুষদের প্রধান পেশা কৃষি, মাছ ও লবণ শিল্প। এই শিল্প ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে হলে সবাইকে এক ভাইয়ের মত এক কথায় থাকতে হবে। তবে নিজেদের স্বার্থে অন্যায়ভাবে কেউ আঘাত করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে গণ ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করার হুশিয়ারী দেন তারা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাস্টার শফিউল আলম বক্তব্য দেয়াকালীন সময়ে সবাইকে একসাথে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লে বক্তব্য শেষ করে দেন।
মধুখালির পুরনো অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ঐক্য তুলে ধরতে সমস্ত মধুখালির জনগোষ্ঠীকে এক কাতারে আসার জন্য আহবান জানান উক্ত আলোচনা সভায়। পরিশেষে মাওলানা নুরুল ইসলাম হুজুরের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ও নুরুল ইসলাম হুজুরের আদেশক্রমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল কমিটি প্রকাশ করে অনুষ্ঠান মুলতবি ঘোষণা করেন মাস্টার ইউনুচ বাহার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন