উদ্ধার হলো আজিজুরের মাথা এবং পা

উদ্ধার হলো আজিজুরের মাথা এবং পা

মাগুরায় আশরাফ আলি বিশ্বাস নামে একজন হোমিও চিকিৎসক মাত্র আড়াই হাজার টাকার জন্যে আজিজুর রহমানকে হত্যার পর ৬ খন্ড করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।

নিহত আজিজুর রহমান (৩০) মাগুরার সদর উপজেলার সংকোচখালি গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে।

১৪ জুন সোমবার দুপুর ৩টায় যশোরের শার্শা এলাকা থেকে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-৬ এর সদস্যরা ওই হোমিও ডাক্তার আশরাফ আলি বিশ্বাসকে আটক করে। এরপর বেরিয়ে আসে সব চান্চল্যকর সব তথ্য।

 আশরাফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সন্ধ্যায় মাগুরার সদর উপজেলার ঘোড়ানাছ গ্রামের একটি কালভার্টের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ওই যুবকের মাথা ও একটি পা উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাগুরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব সদস্যরা জানায়, গত ৫ জুন শনিবার দুপুরে মাগুরা শহরের পূর্বপাড়া বেলতলার হোমিও ডাক্তার আশরাফ আলি বিশ্বাস তার চেম্বারে নির্মমভাবে আজিজুরকে হত্যা করে। পরদিন ৬ জুন পুলিশ নিহত আজিজুরের মাথা ও একটি পা ছাড়া শরীরের বাকি ৪টি অংশ  মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কালুকান্দি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে।


একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে আজিজুর শরীরের উদ্দিপক স্প্রে বিক্রি করতো। তিনটি স্প্রে বিক্রি করে দিলে ডাক্তারকে ৩ হাজার টাকা লাভ দেয়া হবে এমন প্রলোভন দেখায় আজিজুর। কিন্তু ডাক্তার আশরাফ তিনটি স্প্রে বিক্রি করে দিলেও আজিজুর তাকে মাত্র ৫শত টাকা দেয়। এ ঘটনায় ডাক্তার ক্রোধের বসে তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে লাশটি ৬ খন্ড করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।

র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, হোমিও ডাক্তার আশরাফ আলি বিশ্বাস তার হোমিও চেম্বারের মধ্যে আজিজুরকে হত্যা করে। পরে একাই সে লাশ ছয় খন্ড করে বস্তায় ভরে বিভিন্ন এলাকায় ফেলে আসো বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password