এক গণিকার সঙ্গে উদ্দাম সঙ্গমে বীর্যস্খলনের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন এক যুবক
স্বাস্থ্যবিদরা বলে থাকেন, শরীর সুস্থ রাখতে যৌনতার বিকল্প না কি আর হয় না! শারীরিক সঙ্গমে যে পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন হয়ে থাকে, তার সঙ্গে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর খুব একটা তফাত নেই! পাশাপাশি, তা নিয়ে আসে রতিসুখের তীব্রতা। যা জনৈক ব্যক্তিকে যেমন শারীরিক দিক থেকে সুখ দেয়, তেমনই মানসিক দিক থেকেও বাড়িয়ে তোলে আত্মশ্লাঘা- পরিণামে জীবনে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার ভয় থাকে না!
কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার মলাউইয়ের ফলাম্বিতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছে দু'টি ক্ষেত্রকে। এদের মধ্যে একটি হল জনৈক যুবকের পরিবার, অন্যটি এক গণিকালয়। কেন না, খবর বলছে যে এক গণিকার সঙ্গে উদ্দাম সঙ্গমে বীর্যস্খলনের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন এক যুবক!
জানা গিয়েছে যে এই যুবকটির নাম চার্লস মাজাওয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৫ বছর। খবর মোতাবেকে, তিনি এক গণিকালয় থেকে এক রাতের জন্য সঙ্গিনী পছন্দ করেন এবং তার পর তাঁকে নিয়ে আসেন একটি হোটেলে। সেই রাতের মতো হোটেলের ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন মাজাওয়া। পুলিশকে ওই গণিকা জানিয়েছেন যে সঙ্গমের পর বীর্যস্খলনের সঙ্গে সঙ্গে মাজাওয়া নিস্তেজ হয়ে পড়েন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর চোখ বুজে আসে।
বিবৃতি অনুযায়ী, প্রথমে ওই গণিকা ঠিক কী ঘটেছে, তা বুঝতে পারেননি! তিনি ভেবেছিলেন- মাজাওয়া হয় তো ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। পরে তাঁকে জাগাতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে মাজাওয়ার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ভয় পেয়ে গিয়ে ওই গণিকা প্রথমে ফোন করেন তাঁর সহকর্মিণীদের। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে এর পর তিনি পুলিশে খবর দেন।
খবর বলছে যে, এই মৃত্যুসংবাদ পেয়ে মিগোয়ি হেল্থ সেন্টার থেকে একজন একজামিনারকে সঙ্গে নিয়ে একজন পুলিশ ওই হোটেলে আসেন। পুলিশ ওই গণিকার বয়ান লিপিবদ্ধ করেন। পাশাপাশি, ওই হেল্থ একজামিনার ভালো করে পরীক্ষা করেন মৃতদেহটি। প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁর মনে হয়- অত্যধিক অর্গ্যাজম-ই মাজাওয়ার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাজাওয়ার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তেও একই বিষয় উঠে আসে। উদ্দাম রতিক্রীড়ার জেরে হৃদস্পন্দনের হার দ্রুত হয়ে উঠেছিল মাজাওয়ার। পাশাপাশি, রক্তনালীগুলোও ফুলে উঠে ধাক্কা দিয়েছিল মস্তিষ্কে। পরিণামে মস্তিষ্কের শিরা ছিঁড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
ঘটনায় ওই গণিকাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে পুলিশ। মাজাওয়ার দেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি মাতেপওয়েতে অন্তিম সৎকারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন