ফরিদপুরে জাতীয় শ্রমিকলীগের গোলাম মোহম্মদ নাছির- ইমান আলী মোল্যার আহবায়ক কমিটি বহাল আছে

ফরিদপুরে জাতীয় শ্রমিকলীগের গোলাম মোহম্মদ নাছির- ইমান আলী মোল্যার আহবায়ক কমিটি বহাল আছে

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জাতীয় শ্রমিকলীগের গোলাম মোহম্মদ নাছির- ইমান আলী মোল্যার আহবায়ক কমিটিই বহাল আছে। এ তথ্য নিশ্চিত করছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম আযম খসরু। মঙ্গলবার রাতে (৪-০১-২০২২) জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কেএম আযম খসরু একটি চিঠিতে জেলার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।

সুতারং এই কমিটি নিয়ে জেলাবাসীর মধ্যকার সন্দেহের ও সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটলো। সাবেক জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের কমিটি বাতিল করে ফরিদপুরের দায়িত্ব দেয়া হয় তরুন সমাজ সেবক ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্রমিক জননেতা গোলাম মোহম্মদ নাছির এবং জেলার নির্মাণ শ্রমিক বান্ধব জনপ্রিয় ও মিষ্টভাষী নির্মাণ দরদি শ্রমিক নেতা মোঃ ইমান আলী মোল্যাকে।

জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কে,এম,আযম খসরু স্বাক্ষরিত একটি পত্রে এ তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ২৪-১২-২০২১ তারিখের একটি পত্রে গোলাম মোহাম্মদ নাছির কে আহবায়ক ও ইমান আলী মোল্যাকে সদস্য সচিব করে সংগঠনের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে জেলার আওতাধীন সকল থানা,ইউনিয়নের সম্মেলন পুর্বক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জেলা কমিটি গঠনের আলোকে, সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে নাছিরকে আহবায়ক এবং ইমানকে- সদস্য সচিব করায়, জেলার সর্বস্তরের মানুষ কেন্দ্রীয় কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়ে, আহবায়ক কমিটিকে কমপক্ষে ২০ টি সংগঠন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এবং রাজপথে শত শত শ্রমিক ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতারাও আনন্দ মিছিল করেন। এরই মধ্যে হটাৎ করে ২০০৫ সালে নেতৃত্ব পাওয়া সাবেক কমিটির ঘুমন্ত নেতারা আবার জেগে উঠেন। কেন্দ্রীয় নেতা কুতুব আলী মান্নান সভাপতির ( চলতি দায়িত্ব) পুর্বের চিঠির কমিটি নিয়ে ১৬ বছর পর আক্কাছ আলী এবং শহীদ হোসেন এখনও তাদের কমিটি বহাল আছে মর্মে দাবি করেন।

অথচ তাদের কমিটি বিগত ১৬ বছর দায়িত্বে থাকার পরও সম্মেলন করে জেলার পুর্নাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। গঠনতন্ত্রের ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দলীয় শর্ত ও সম্মেলন এবং কমিটি গঠনে দলীয় সংবিধানের নীতিমালা ভঙ্গ করছে বলে শ্রমিক নেতাদের দাবি। যা দলীয় গঠনতন্ত্রের নিয়ম লঙ্গনেরও সামিল বলে তারা মনে করেন। উপরন্ত শ্রমিকলীগের সাবেক জেলা কমিটি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, দলটিকে নিজেদের চাঁদাবাজির দোকানঘর বানিয়ে ব্যবহার করছেন বলে বহু অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা পড়ছে।

এরই ধারাবাহিকতায়, অচল ও নিস্তেজ দলটিকে সচল করতে এবং সংগঠনটিকে গতিশীল এবং পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন কে এম,আযম খসরুস, সাধারন সম্পাদক জাতীয় শ্রমিকলীগ। যাহার অফিস পত্রের সূত্র নং জা,শ্র,ল,২০১১/১২/০৩তারিখ ২৪-২-২০২১ ইং। সে মতে,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল আস্হা রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শ্রমবান্ধব সরকারের, একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আন্তরিকতা নিষ্ঠা সততা ও সাহসের সাথে যথাযথ কাজ করার ও দায়িত্ব পালনে নাছির ও ইমানকে আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে,যে কমিটি দীর্ঘ ১৬ বছরেও জেলার সম্মেলন করে শ্রমিকলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন,অথচ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ইতিপূর্বে তারা বহিস্কারও হয়। উপরন্ত তারাই সাবেক কমিটি বহাল বলে দাবি করছেন। বিষয়টি এখন হাস্যকর হয়ে দাড়িয়েছে সব জায়গায়। সর্বশেষ, উল্লেখিত, সকল সন্দেহ ও আলোচনার অবসান ঘটালেন , জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব, আলহাজ্ব কেএম,আযম খসরু।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার ( ০৪-০১-২০২২) ইং তারিখ রাতে এক চিঠিতে তিনি উল্লেখ্য করে, তিনি জেলার গনমাধ্যম কে নিশ্চিত করেন, জনাব, গোলাম মোহম্মদ নাছির এবং মোঃ ইমান আলী মোল্যার ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি বৈধ এবং তারাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলায় সম্মেলন পুর্বক, সকল পর্যায়ের কমিটি উপহার দিবেন। যে কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন এবং জাতির পিতার শ্রমবান্ধব আর্দশের প্রতিফলন ঘটবে। ছবিঃ গোলাম মোহম্মদ নাছির এবং ইমান আলী মোল্যা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password