ঘুর্ণিঝড় অশনি'র প্রভাবে টানা পাঁচ'দিনের বৃষ্টিতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ফসলের জমিতে পানি জমে থাকায় পাকা ইরি—বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়—ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলায় চাষাবাদের জন্য ৮৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে।
কিন্তু চলতি মৌসুমে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে ২৯ হাজার হেক্টর। তুলনা মূলক চাষাবাদ কম হয়েছে বলে জানান। সরেজমিনে, উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাষান চর, হাজারীগঞ্জ , জানানপুর ইউনিয়ন,দক্ষিণ আইচা থানার অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন ও চরমানিকা ইউনিয়নের চরকচ্ছপিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ধান।
অশনি’র আঘাত হানার আগেই ধান কাটতে হবে এই ঘোষণায় কৃষকরা অনেকেই কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলছে। চরফারুকির কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে, অর্ধেক ভাগেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অবিরাম বৃষ্টি, আমাদের সর্বনাশ, কিছু নেতার কপালে আসলো পৌষ মাস।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিকেরা দক্ষিণ আইচায় গৃহস্থের বাড়ি থেকে ধান কাটতেন কিন্ত এবছর তারা অজ্ঞাত কারণে এখনও অধিকাংশ গৃহস্থেরর বাড়িতে আসেননি। শ্রমিক না পাওয়ায় আমি নিজেই ডুুবে ধান কাটছি। চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। মাঠের শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন