স্বামীর খুঁজে বের হয়ে স্বামীর বন্ধুদের হাতে ধর্ষণের শিকার হলো এক নারী। ধর্ষণের সময় তার স্বামী পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলো। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলো, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের জেলে কলোনীর এনায়েতের ছেলে আক্তার, একই ইউনিয়নের বান্দাখালী গ্রামের মাকসুদুল হকের ছেলে হক সাব, মদিনা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে গৃহবধূর স্বামী সোহেল ওরফে রোহিঙ্গা সোহেল ও জেলে কলোনির সাইদুল হকের ছেলে রাশেদ মাঝি।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, তিনি চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৬ মাসের শিশুকে নিয়ে স্বামী সোহেলের সন্ধানে যাচ্ছিলেন। হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ঘাটে পৌঁছালে তার হাত-মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বান্দাখালী গ্রামে নদীর পাড়ে নিয়ে যান স্বামী সোহেলসহ আরো ১০ জন। সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন সবাই। এ সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।
হাতিয়া থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন