এবার মোরগ হত্যা বন্ধ করতে নতুন আইন চালু করলো জার্মানি। কেউ জেনো আর মোরগ হত্যা করতে না পারে তাই আই নতুন আইন চালু করা হয়েছে। ডিম দেয় না বলে পুরুষ মোরগকে হত্যা করা হতো। ডিম না দেয়ায় জন্মের পরপরই মোরগ ছানা মেরে ফেলা হয় অনেক দেশেই। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয় এমন অজুহাতেই এমন বর্বরতার শিকার হয় ছানাগুলো।
মুরগি চাষ বা উৎপাদন প্রক্রিয়া অমানবিক, অনৈতিক বলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রকমের সমালোচনা হচ্ছিল। ডিম দেয় না, আবার মাংসের জন্যও সেরা পছন্দ নয়, ফলে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় মুরগির খামারগুলোতে পুরুষ বাচ্চাগুলোকে জন্মের পরপরই মেরে ফেলা হয়।
তবে এবার এমন গণহারে মোরগ ছানা হত্যা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানি। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি আইন পাস করেছে দেশটি। জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে, দেশটিতে গণহারে মুরগির পুরুষ বাচ্চা বা মোরগ মেরে ফেলা নিষিদ্ধ আইন আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে। জার্মানির কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার গণহারে মুরগির পুরুষ বাচ্চা হত্যা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেন। এ হত্যাকে ‘অমানবিক’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, অর্থনৈতিক স্বার্থে কৃষকদের প্রাণী সুরক্ষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয়ে ২০১৯ সালে এক রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জার্মান প্রশাসনিক আদালত। এ আইনের ফলে, মুরগির পুরুষ ছানার জন্ম রোধ করতে জার্মান কৃষকদের এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে, যেন ভ্রুণেই লিঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর শুধু জার্মানিতেই মুরগির প্রায় সাড়ে চার কোটি পুরুষ বাচ্চা মেরে ফেলা হয়। একে ‘চিক শ্রেডিং’ বা ‘মুরগির ছানা জবাই’ বলে অভিহিত করেছেন প্রাণী সুরক্ষা কর্মকর্তারা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন