পেটে নেই ভাত, খিদের জ্বালায় কেঁদে দেন গুলবানু বেগম

পেটে নেই ভাত, খিদের জ্বালায় কেঁদে দেন গুলবানু বেগম

ঝালকাঠির পৌর শহরে বিকনা গ্রামে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গুলবানু বেগম (৭০)। স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। বাবার রেখে যাওয়া এক খণ্ড জমি নিজের আশ্রয়স্থল।

চার ছেলের মা গুলবানু। অথচ খোঁজ খবর নেয় না সন্তানরা। একসময়ে মানুষের বাসায় কাজ করে পেট চালাতেন গুলবানু। করোনার কারণে মানুষের বাসায় কাজ বন্ধ। পেটে নেই ভাত, খিদের জ্বালায় কেঁদে দেন গুলবানু বেগম। ছেলেরাও সকলেই দিন মজুর। এক ছেলে ভারসাম্যহীন বলে এলাকাবাসী জানায়। ভারসাম্যহীন ছেলেটি ছুটে আসে মাঝে মাঝে মায়ের কাছে। আর অন্য ছেলেরা কেউ খোঁজ নেয় না মায়ের। অনাহারে দিন কাটছে শহরের এই ঝুপড়ির ঘরে।

প্রতিবেশীরা জানায়, এ ঘরে কোন মানুষ থাকে না। আমরা মাঝে মাঝে খাবার দিলেও সব সময় দিতে পারি না। এদিকে ঘরে চারদিকে নেই বেড়া। পাড়া প্রতিবেশীর সাহায্যে ঘর থেকে বের হয়। বসত ঘরখানা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায়। ভাঙা পুরাতন টিন, পলিথিন দিয়ে ঢাকা। নেই টয়লেট, ঘরে নেই কোন বিছানা পত্র, বর্ষার সময় সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ঝড় বন্যা হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় গুলবানুকে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password