টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় কনা আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ তার পরিবারের। বাসাইল থানার ওসি হারুনুর রশিদ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার বাবু মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে কবির মিয়ার সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুণ গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে কনা আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিতে শাশুড়ি ও দুই ননদ সালমা ও তাসলিমা বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করতে থাকে। এর পর তার শাশুড়ি দুবাই ও স্বামী সৌদি আরবে চলে যান। এর পর থেকে ওই গৃহবধূ কনা আক্তার তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শ্বশুরের সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন। এর মধ্যে ননদ সালমা বেগমের স্বামী অন্যত্র বিবাহ করায় ও তাসলিমা বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় তারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করতে থাকেন। এমতাবস্থায় গৃহবধূ কনার প্রবাসী স্বামী কবির ও শাশুড়ির টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করেন তার দুই ননদ। একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় দুই ননদ গৃহবধূ কনাকে মারধর করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে তার বসতঘরের ধন্নার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ কনা আক্তারের লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূ কনা আক্তারের মা কোহিনূর বেগম বলেন, গতকালও আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য দুই ননদ মিলে মারধর করে। পরে রাতের কোনো একসময় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের ধন্নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাস মিয়া বলেন, পুলিশ নিহতের লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা কিছু বলা যাচ্ছে না। ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন