ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। মোদি ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করতে চায়। তাই আজ লক্ষাধিক মানুষের সামনে বলে দিতে চাই, যে কোনো কারণবশত যদি মোদি বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে তাহলে দেশের ১৬ কোটি মুসলমান চুপ করে বসে থাকবে না। কাপনের কাপড় নিয়ে শাপলা চত্বরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করব।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে হেফাজতে ইসলাম দিরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে দিরাই পৌর এলাকার স্টেডিয়াম মাঠে শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হেফাজতের আমির।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, যারা ইসলামের বিরোধিতা করে তারা স্বাধীনতারও বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, এরা শুধু ইসলামের শত্রু নয়, এরা স্বাধীনতারও শত্রু।
বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর প্রসঙ্গ টেনে হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন, ‘ওই কসাই মোদি গুজরাট, আহমেদাবাদে মুসলমানদের কচু আর গাজরের মতো কচুকাটা করেছে। এমনকি ভারতের অনেক প্রাচীন মসজিদ ভেঙে ফেলেছে। মোদি যদি সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ক্ষমা না চান তাহলে মোদি কোনো দিনও বাংলাদেশে আসতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইসলামকে নির্মূল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা তাদের বলে দিতে চাই, যারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়, নির্মূল করতে চায় তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনিরসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর ইসলাম একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে ইসলাম বিপন্ন হলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। বাংলাদেশে যারাই ইসলাম এমনকি আমাদের প্রিয় নবিকে নিয়ে কটূক্তি করবে তাদের জন্য সংসদে সর্বোচ্চ আইন মৃত্যুদণ্ড করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন