এমনিতেই করোনা তান্ডবে জর্জরিত সারা বিশ্ব। তখনই আরও ভয়ঙ্কর খবর অপেক্ষা করে রয়েছে বিশ্ববাসীর জন্য। ঘুম থেকে জেগে উঠেছে সূর্য। মাত্র কয়েকদিন আগেই সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষ টন প্রচণ্ড গরম গ্যাস। বৈজ্ঞানিক ভাবে এই মহাজাগতিক ঘটনার নাম, 'করোনাল মাস ইজেকশন'। এর জেরে পৃথিবীতে শুরু হয়েছে 'জিওম্যাগনেটিক ঝড়'।
উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন গত বেশ কয়েকমাস ধরে শক্তিহীন অবস্থায় 'ঘুমাচ্ছিল' সূর্য। তবে ফের একবার জেগে উঠেছে সূর্য। অর্থাৎ, সূর্যের মধ্যে অস্থিরতা নজর করা গিয়েছে। এর ফলে সরাসরি পৃথিবীতে কোনও প্রভাব সরাসরি পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এরম আগেও বহুবার হয়েছে। তবে পৃথিবীর উপর সরাসরি এর প্রভাব পড়েনি।
তবে এই ঘটনার জেরে ধীরে ধীরে সূর্যের উজ্জ্বলতা কমার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ লক্ষ বছর ধরে ধীরে ধীরে শক্তি ও উজ্জ্বলতা কমেছে সূর্যের। সৌর ঝড়ের সময় সূর্য থেকে ছড়িয়ে পড়া গরম গ্যাসে ইলেকট্রিক চার্জ যুক্ত গ্যাস রয়েছে যেখান থেকে সৃষ্টি হয় চৌম্বকীয় তরঙ্গ। এর জেরে বিশ্বের বেতার, জিপিএসের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সূর্য এর ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে। এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছবে। বিশ্বের উপর শেষ সৌর ঝড় আঘাত হেনেছিল ১৭ বছর আগে।
তবে সেই সময় থেকে বর্তমানে প্রযুক্তির উপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে কয়েক গুণ হারে। তবে এই সৌর ঝড় বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিকে ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজ্ঞানীরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন