সারাদেশে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা প্রকোপ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে। সংক্রনের সাথে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর হার। সেই সাথে ভারতীয় ধরন আরো বেশি আতংক তৈরি করছে। এ থেকে বাচানোর জন্য সরকার লকডাউন সহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের বিশেষ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। লকডাউন এবং কঠোর লকডাউনের মতো শাটডাউনেও থাকতে পারে কঠোর থেকে কঠোরতর বিধিনিষেধ। এসময় জরুরি সেবা বাদে বাকি সব বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়। শাটডাউন মানে হচ্ছে সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু জরুরি সেবাগুলো ছাড়া। অফিস-আদালত, বাজার-ঘাট, গণপরিবহনসহ সব বন্ধ থাকবে। সবাই বাসায় থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, জরুরি সেবা বলতে ওষুধ, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম ছাড়া সবকিছু দুই সপ্তাহ বন্ধ করে মানুষ যদি এই স্যাক্রিফাইস-কষ্টটুকু মেনে চলে তাহলে আগামীতে বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রন অনেকটাই আমাদের আওতায় চলে আসবে। অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ আরো জানান, দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ছয় সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল, এছাড়া দিল্লিতে আরও তিন সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতেন, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও কমে এসেছে।
সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে স্থায়ীভাবে রেহাইও মিলতে পারে।
এবং এর মধ্যে করোনা ভ্যাক্সিন
এসে যাবে। সবাইকে এই ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে পরার্মশক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। তবে এ রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন