কোটা ইস্যুতে কথা বলায় ইমামদের চাকরিচ্যুত, ক্ষুব্ধ আহমাদুল্লাহ

কোটা ইস্যুতে কথা বলায় ইমামদের চাকরিচ্যুত, ক্ষুব্ধ আহমাদুল্লাহ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরব ছিলেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। এবার এই আন্দোলনকে ঘিরে যেসব ইমাম-খতিব চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই ইসলামি আলোচক লেখেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী চলা অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে অনেক ইমাম-খতিবকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কোনো কোনো খতিবকে কারণ ছাড়াই ছুটিতে রাখা হয়েছে। যারা এগুলো করেছেন, ঘোরতর অন্যায় ও নীতি বহির্ভুত কাজ করেছেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ উল্লেখ করেন, এদেশে সবচেয়ে কম সুযোগ-সুবিধায় দায়িত্ব পালন করেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান খুবই কম। অথচ তাদের ওপর খবরদারি করা হয় সবচেয়ে বেশি। ইমামদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইমাম মানে নেতা। তাদের ওপর খবরদারি করা মুসলিমসুলভ আচরণ হতে পারে না।

কোনো ইমাম সত্য উচ্চারণ করতে গিয়ে জুলুমের শিকার হলে সবাইকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করছি। সবশেষ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইমাম-খতিবরা যত স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবেন, আমাদের সমাজ ততই ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগোবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে আন্দোলনের জেরে রিমান্ডে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবসহ গ্রেফতারকৃত সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ মানুষের মুক্তি চেয়েছেন এই ইসলামি আলোচক।

এক ফেসবুক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে ফিলোসফিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসিফ মাহতাব, ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ভাষ্যমতে মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে তিনি বেশিক্ষণ একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। তাকে চলাফেরা করতে হয় লাঠিতে ভর দিয়ে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই রকম একজন অসুস্থ মানুষ সেতু ভবনে হামলা করতে যাবেন তা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না। তারপরও সেতু ভবনে আক্রমণের অভিযোগে তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসিফ মাহতাবসহ গ্রেফতারকৃত সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ মানুষকে মুক্তি দিন।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password