বরিশাল বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে ১৪৪২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১২৮৯ ব্যক্তি। মারা গেছেন ১ জন। চলতি বছরে ৩৬ হাজার ৪৬৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ২২৯ জন। বিভাগে শুক্রবার পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে ভোলা জেলায়। এ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ২৩৩ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালী। এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ২৯০ জন। পর্যায়ক্রমে বরগুনায় পাঁচ হাজার ৪৫০ জন, বরিশাল জেলায় চার হাজার ৯৭৯ জন, পিরোজপুরে চার হাজার ৪৩৩ জন ও ঝালকাঠিতে চার হাজার ৮৩ জন ব্যক্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) গত সপ্তাহে বরগুনায় এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে, সেখানকার ৭১ শতাংশ মানুষ গৃহস্থালির কাজে খাল কিংবা নদীর পানি ব্যবহার করছেন। যেমন- ভাত রান্না, সবজি ধোয়া। মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ নলকূপের আওতায় রয়েছে। আইইডিসিআরের গবেষণা মতে, ওই অঞ্চলের খালের পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু বিদ্যমান। এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি শরবতসহ নানান কাজে ব্যবহার করা হয়, এটাও জীবাণুযুক্ত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন