বরিশালে রাতে তুমুল ঝগড়া, সকালে গৃহবধূ ঝুলন্ত লাশ

বরিশালে রাতে তুমুল ঝগড়া, সকালে গৃহবধূ ঝুলন্ত লাশ

বরিশাল নগরীর বিলবগ্রাম এলাকায় সুমি বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে সুমির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার মা রিনা বেগম এ অভিযোগ করেন।

সুমি বেগম নগরীর বিলবগ্রাম এলাকার নয়ন গাজীর স্ত্রী ছিলেন। এ দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।জানা গেছে, সুমির সঙ্গে স্বামী নয়ন গাজীর দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। তবে সন্তানের কথা ভেবে সুমি বেগমেকে ধৈর্য্য ধরতে বলতেন মা রিনা বেগম।

রিনা বেগম অভিযোগ, ২০০৫ সালে সুমির সঙ্গে নয়ন গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান হয়। সুখের কোনো কমতি ছিল না। কয়েক মাস আগে নয়ন গাজী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীকে নিষেধ করেন সুমি। সুমি জোরালো প্রতিবাদ করলে প্রায়ই মারধর করতো নয়ন গাজী।রিনা বেগম বলেন, প্রতিবেশীদের কাছে থেকে জেনেছি শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। প্রতিবেশীরা মারধর ও চিৎকার শুনেছেন।

তিনি বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় নয়ন গাজী সুমিকে হত্যা করেছে। সুমিকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বিমান বন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে স্বামীর ঘর থেকে সুমি বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার রাতে সুমি ও স্বামী নয়ন গাজীর মধ্যে তুমুল ঝগড়ার কথা প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।ধারণা করা হচ্ছে, কলহের জের ধরে সুমি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় নয়ন গাজীকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে তিনি আত্মগোপন করেছেন।

বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সুমি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার মা রিনা বেগমের অভিযোগ, সুমিকে স্বামী হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password