চুয়াডাঙ্গায় পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের পরামর্শে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ ও বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে এক গৃহবধূ। তার নাম কাকলী খাতুন। শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সাড়াবাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় স্ত্রী কাকলী খাতুনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কাকলীর পরকীয়া প্রেমিক মুকুল হোসেনকে খুঁজছে পুলিশ। গৃহবধূ কাকলী খাতুন জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, ১০ মাস আগে দামুড়হুদার সাড়াবাড়ীয়া গ্রামের কাদির মণ্ডলের ছেলে মাসুদ হোসেনের সঙ্গে কাকলীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় স্বামীর প্রতিবেশী উসমান মোল্লার ছেলে মুকুল হোসেনের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুকুলের পরামর্শে শুক্রবার সকালে স্বামী মাসুদকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাকলী। সকাল ১০টার দিকে স্বামী মাসুদ পানি খেতে চান স্ত্রী কাকলীর কাছে। এই সুযোগে পানিতে ঘুমের ওষুধ ও এক ধরনের বিষ মিশিয়ে খেতে দেয় কাকলী।
কিছুক্ষণের মধ্যে মাসুদের শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হয়। তিনি বমি করতে করতে নেতিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক বুঝে পরিবারের সদস্যরা মাসুদকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, মাসুদের পেট থেকে বিষ তোলা হয়েছে। তবে তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন। সাতদিন না পেরুলে ঝুঁকিমুক্ত হতে পারছেন না মাসুদ। এ ঘটনায় মাসুদের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে শুক্রবারই কাকলী ও মুকুলের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা করেন। সন্ধ্যায় কাকলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর কাকলী জানান, মুকুলের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্নে তার পরামর্শে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলাম। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিক মুকুল। থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজল জানান, মুকুলকে গ্রেফতারে পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে। অচিরেই গ্রেফতার করা হবে অভিযুক্ত পরিকল্পনাকারী পরকীয়া প্রেমিক মুকুলকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন