বরগুনার আমতলী উপজেলার গ্রাম -গঞ্জের হাট- বাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
মঙ্গলবার বিকেলে হাট ঘুরে দেখা গেল, কোথাও কেউ করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বরং আগের মতোই মানুষ চা-স্টলে বসে আড্ডা দিচ্ছে, সিগারেট টানছে। মুখে মাস্ক আছে-এমন দুই-একজন খোঁজে পাওয়াও ছিল দুষ্কর। উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং হাট-বাজার ঘুরেও একই চিত্র পাওয়া গেছে। অনেক জায়গায় সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে। সবাই ভিড় করছে। আবার স্থানীয় হাট-বাজারে পণ্য কেনা-বেচায়ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। হাজার হাজার মানুষ হাট-বাজারের এক প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। করোনা নিয়েও কারও ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। শুধু বরগুনার আমতলী উপজেলা নয়, বরং আশপাশের আরও বেশ ক’টি উপজেলার গ্রামীণ জনপদ।
ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামের মাঠ-ঘাট, হাট-বাজার, সড়কের মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে মানুষের গল্পের আড্ডা। এসব আড্ডায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চললেও নেই তাদের মধ্যে সচেতনতা। এ গ্রাম সে গ্রাম বা এ পাড়া সে পাড়ায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ।
গ্রামাঞ্চলের বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,করোনা গ্রামে হয় না, এটা শহরে হয়, এটা বড় লোকের রোগ। আমাদের মতো দরিদ্র মানুষ, গ্রামের মানুষ-এই রোগে আক্রান্ত হবে না।
অপরদিকে উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলছে। গত ৭দিনে ৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন। করোনার সংক্রমণরোধে চলমান সরকারি বিধি-নিষেধ উপজেলার কোথাও মানা হচ্ছে না। ফলে উপজেলা ব্যাপী করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাড়ীতে বাড়ীতে সর্দি- কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। হাসপাতালে এখন যেসব রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের অধিকাংশ ওই সমস্যায় ভূগতেছেন। গত বুধবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭দিনে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ওই ৭দিনে উপজেলায় ৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ২৯ জন। আজ (মঙ্গলবার) ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষকে সচেতন করতে প্রচার- প্রচারনার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। গত ২দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলাব্যথার প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন