বাংলাদেশের থেকে র্যাংকিংয়ে ৮৪ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচটা যে কঠিন হতে চলেছে সেটা অনুমান করা গেছে পুর্বেই। অনুমানটা ঠিকও হলো। কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে ফিলিস্তিনের কাছে ২-০ গোলে হেরে তিন জাতির ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু করলো জামাল ভূঁইয়ারা। ২০১৮ ও ২০২০ সালেও ফিলিস্তিনের কাছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আজও একই ব্যাবধানে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
চার ডিফেন্ডারের ছক থেকে বেরিয়ে তিন সেন্টার-ব্যাক খেলানো হলো। মাঝমাঠে শক্তি বাড়ানো হলো কিছুটা। কিন্তু কৌশলের এই বদল, ম্যাচের আগে লড়াই করার প্রত্যয়ের ছাপ মাঠের খেলায় দেখা গেল যৎসামান্যই। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে ফিলিস্তিন। বাংলাদেশের সীমানায় একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। প্রথমার্ধের ১৫তম মিনিটে মাহমুদ ইদের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাঁচ মিনিট পর এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শটও যায় বাইরে। তবে ৩৩ মিনিটের সময় আর নিরাশ হতে হয়নি ফিলিস্তিনিদের৷ ৩৩তম মিনিটে বাংলাদেশের জালে প্রথমবার বল জড়ায় ফিলিস্তিন। বাংলাদেশি গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের ভুলে গোল খায় তারা। মাঝমাঠের বেশ সামনে থেকে ফিলিস্তিনের এক খেলোয়াড় লম্বা পাস দেন। সোহেল এগিয়ে আসেন তা ধরতে। তবে তিনি বল ধরার আগেই ফিলিস্তিনি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইদ তার মাথার উপর দিয়ে বল লক্ষ্যের দিকে পাঠান। প্রথমার্ধে গোল হতে পারতো আরও তবে ৩৩ মিনিটের সময় ভুল করা সোহেলের দৃঢ়তায় ১ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে ফিলিস্তিন। বাঁ দিক থেকে মাহমুদের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে সামান্য লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ইয়াসের হামদ৷ দুই গোলে পিছিয়ে পরেও গোল শোধের তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ উলটো ফিলিস্তিনের স্ট্রাইকাররা বার বার আক্রমণ করে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাগতিক কিরগিজস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ফিলিস্তিনকে কিরগিজরা ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন