কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউএনও কর্তৃক সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাবেশ করেছে মহেশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকরা। রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মহেশখালী উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সমাবেশ শেষে সাংবাদিক নেতা দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি আবুল বশর পারভেজ, দৈনিক সকাল বেলার জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইউনুস, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি মাহবুব রোকন, দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীর চার দফা দাবী উত্থাপন করেন।
দাবী গুলো হলো- চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ইউএনওকে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের যাবতীয় ইতিবাচক নিউজ বর্জন করা হবে, ২৫ অক্টোবর সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে, তারপর ২৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা সদরে মানববন্ধনের পর জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
এর আগে ২২ অক্টোবর মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও বিসিকের আয়োজনে লবনচাষীদের নিয়ে সেমিনার করা হয়। সে সেমিনারের বিষয়ে মহেশখালীতে কর্মরত কোন সাংবাদিককে জানানো হয়নি। পরে অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে বিসিক চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে যান সাংবাদিকরা। তখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান এবং সংসদ সদস্যের সামনে সাংবাদিক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
ওই সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক এস এম রুবেল, রমজান আলী, আবু বক্কর ও বাপ্পী জানান- সংসদ সদস্য ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান গুলোতে সাংবাদিকদের জানানোর অনুরোধ করেন। তখন ইউএনও মুহাম্মদ ইয়াসিন রেগে গিয়ে বলেন, "সাংবাদিক মিনস কি তারা জানে? তাদের কেন ডাকবো? তারা নিজেরা আসতে পারেনা। আর সাংবাদিকদের ডেকে আমি ভাতের প্যাকেট কোত্থেকে দিবো? তাদেরকে চিঠি দিতে হবে! চেয়ার দিতে হবে? অনারিয়াম দিতে হবে? খবর দিতে হবে নতুন জামাইর মত!
সমাবেশে বক্তারা বলেন- "মহেশখালীতে সরকারের মেগা প্রকল্প সহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এখনো উন্নয়ন কাজ চলছে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থা এখানে কাজ করছেন। আর এখানকার মানুষ নানান ভাবে সরকারী প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত।
কিন্তু এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানায়না উপজেলা প্রশাসন। তারা গোপনে বিভিন্ন মিটিং, সমাবেশ, সেমিনার সম্পন্ন করেন। যার কারণে প্রকৃত উন্নয়নের তথ্য মানুষের নাগালে পৌঁছায়না।" তারা আরো জানান- ইউএনও যোগদানের পর থেকে সেবাপ্রাপ্তিদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি এক সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান ইউপি সদস্য ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন