চীনের সিচুয়ান প্রদেশে সোমবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। ২০১৭ সালের পর অঞ্চলটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানী চেংডুসহ দূরবর্তী প্রদেশগুলোও কেপে উঠেছে। রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশিন জানিয়েছে, সিচুয়ান প্রদেশের বেশ কিছু রাস্তা এবং বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত একটি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষ বাস করে। চীনের আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, চেংডু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লুডিং শহরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। সোমবারের ভূমিকম্পটি কয়েকশ কিলোমিটার দূরে ইউনান, শানসি এবং গুইঝো প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। চেংডুতে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ লোকের বাস।
একজন বাসিন্দা লরা লুও জানিয়েছেন, তিনি বাড়িতে ফেরার সময় দেখতে পান মানুষ ফোনে ভূমিকম্পের সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক জনসংযোগ পরামর্শদাতা জানিয়েছে, ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কাঁদতে শুরু করেছিল এবং সব কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করেছিল। ফলে বেশ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। চায়না নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেক মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছিল। অনেক বাড়িতেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
সিচুয়ানের ইতিহাসে ২০০৮ সালের মে মাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভুমিকম্প হয়েছিল। আট মাত্রার ভূমিকম্পটিতে প্রায় ৭০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এদিকে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সোমবার ভোররাতে ভূমিকম্পে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন