বান্দরবানে ব্যাংক লুট ও থানায় সশস্ত্র হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, গ্রেফতার চেওচিম বম কেএনএফ'র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। আজ রোববার (৭ এপ্রিল) রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় বান্দরবানের মেঘলায় র্যাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার চেওসিম বম বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়াডের্র শ্যারন পাড়ার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানয়, সুনিদিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সকালে সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারন পাড়ায় চেওসিম বমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে ঘরের মধ্যে একটা লোহার লকারের ভেতর তাকে পাওয়া যায়।
তিনি সেখানে লুকিয়ে ছিলেন। লোহার লকারে বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। তালা ভেঙ্গে তাকে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়। বান্দরবান সদর উপজেলার পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে র্যাব দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করে।
তবে এগুলো গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির সময় সেখানকার পুলিশ ও আনসার সদস্যদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র কিনা- তা এখনও জানানো হয়নি। র্যাব জানিয়েছে, তারা পরে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানাবে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। গতকাল শনিবার থেকে বান্দরবানে সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে অংশ নেন এলিট ফোর্সটির শতাধিক সদস্য।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযানের কথা জানান। এরপরে শনিবার বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলায় শুরু হয় র্যাবের বিশেষ অভিযান। এদিকে ডাকাতির সময় সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। পরে র্যাবের মধ্যস্ততায় অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর বান্দরবানের ব্যাথেল পাড়া থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
২ এপ্রিল ডাকাতির সময় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট ভেঙে দেড় কোটি টাকা লুট করার চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠনটি। তবে এই টাকা নিতে না পেরে, তাঁরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বুধবার কেএনএফ থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখাতেও ডাকাতি করে। পর পর এসব ঘটনায় বান্দরবানে তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে এসেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপতা বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় এপর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন