না ফেরার দেশে চলে গেলেন আশির দশকের মাঠ মাতানো কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায়। রোববার বিকেলে রাজধানী ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয়মুখ বাদল রায় লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল। মোহামেডানের হয়ে খেলে খ্যতি অর্জন করেন দেশের ফুটবলের অন্যতম এ তারকা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।বাদল রায় ৫ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। পরে পরীক্ষার পর তার লিভার ক্যান্সার শনাক্ত হয়।
এরপর ডাক্তাররা তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বললে পরিবারের সদস্যরা স্কয়ার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বাবিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ডায়ালাইসিস করাতে নেয়া হয়েছিল ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল। কিন্তু সেখানে তিনি মারা যান।
১৯৭৭ সালে মোহামেডানের জার্সিতে ঢাকার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বাদল রায়ের। বাংলাদেশের অন্যতম ফুটবলার বাদল রায় যিনি ক্যারিয়ারের পুরো সময়ই কাটিয়েছেন মোহামেডানে। পরবর্তীতে ওই ক্লাবের কর্মকর্তাও হয়েছিলেন বাদল রায়। তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক, সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপমহাসচিব, সহসভাপতি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ট্রেজারার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বাদল রায়।
বাদল রায় ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৯১ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বাদল রায়। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া কমিটির সহ-সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন বেশ ক’বার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন