আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবল তারকা ম্যারাডোনার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স আসতে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী ম্যাটিয়াস মোরলা। এক ঘটনায় তিনি একটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।৬০ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাডোনা। তার মৃত্যুতে শোকাহত পুরো বিশ্ব। বৃহস্পতিবার নিজের জন্মশহর বুয়েনস আয়ার্সের উপকণ্ঠে অবস্থিত সমাধিস্থলে মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে ম্যারাডোনাকে।
তবে ম্যারাডোনার দাফনের আগে বড়সড় এক অভিযোগ এনেছেন তার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা। তার দাবি, ম্যারাডোনার মৃত্যুর পেছনে লা প্লাতা আইপেনসা ক্লিনিকের খামখেয়ালী দায়ী। ওই ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন ম্যারাডোনা। ইএসপিএন ও নিউইয়র্কপোস্টের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
লা প্লাতা আইপেনসা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মাতিয়াস মোরলার অভিযোগ, ম্যারাডোনার মৃত্যুর দিন ওই ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স আসতে ৩০ মিনিট দেরি করে। এরপর হ্যার্ট অ্যাটাক হওয়া ম্যারাডোনাকে তারা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। মোরলা জানান, হার্ট অ্যাটাক করার পর যদি ম্যারাডোনাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে নেয়া হতো, তাহলে অন্য কিছু হলেও হতে পারত।
মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনাকে ওই ক্লিনিকের পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা সহায়তা দেয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন মোরলা।বিশেষ করে দেরি করে ম্যারাডোনার বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানোকে অপরাধমূলক কাজ বলে মনে করেন এই আইনজীবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ এনেছেন ম্যারাডোনার আইনজীবী ও বন্ধু মোরলা।শুধু তাই নয়; এমন বড় ধরনের অভিযোগ এনে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মোরলা।
মোরলা লিখেছেন, ‘সান ইসিদ্রোর প্রসিকিউটর অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক, মৃত্যুর আগে ১২ ঘণ্টার মধ্যেও আমার বন্ধুর জন্য নিয়োজিত কেউ তার কাছে যায়নি। পরে অ্যাম্বুলেন্স আসতেও ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। এটা স্পষ্টত অপরাধমূলক কাজ। বিষয়টা এড়িয়ে যাবার নয়। আমি শিগগিরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। ’
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই ৬০তম জন্মদিন পালন করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর পরই মস্তিষ্কে রক্ত জমে যাওয়ায় জটিল অস্ত্রোপচার করতে হয় তার। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তার পর সফল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি। তবে ডাক্তাররা আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে তার নিজ বাসায়ই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। যেখানে উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল ম্যারাডোনার স্বাস্থ্যের অবস্থা।
কিন্তু বুধবার রাতে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসস্থানে মারা যান ম্যারাডোনা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন