কুমিল্লা- ১ আসনটি বর্তমানে মেঘনা-দাউদকান্দি দুটি থানা নিয়ে গঠিত তবে উন্নয়নের দিক দিয়ে দাউদকান্দির চেয়ে অনেকটাই পিছনে মেঘনা উপজেলা। তাই মেঘনা উপজেলার সর্বস্থরের জনগন এই আসনটি বাতিল করে মেঘনা-হোমনা আসন পুনঃবহালের দাবিতে বিশাল গন সমাবেশ করেন।
গত সোমবার(২৪ এপ্রিল) মেঘনা উপজেলা হাইওয়ে কমপ্লেক্সের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গাফফার হাউদের সভাপতিত্বে ও ইমরান হোসেন আকাশের সঞ্চালনায় সমাবেশটি শুরু হয়।
উক্ত গসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল আলম, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার, উপস্থিত ছিলেন- নাসির উদ্দিন শিশির-সাংগঠনিক সম্পাদক কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকী শামীম, বাংলাদেশের ইসলামিক ইসলামিক ওউক্য জোটের যুগ্ন মহা সচিব- মাওলান আলতাব হসেনসহ স্থানীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি চেয়ারম্যানগন, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেঘনা উপজেলার সর্ব স্থরের জনগন।
সমাবেশকারীগন সমাবেশে একাত্ত্বভাবে উপস্থিত হয়ে একটাই দাবি উপস্থাপন করেন "হোমন-মেঘনা আসন চাই". এটি মেঘনা ও হোমনা বাসীর দীর্ঘদিনের প্ৰানের দাবি।
শফিকুল ইসলাম শফিক তার বক্তব্যে বলেন, সুবিদ আলী ভূইয়া সাহেব আর্মির লোক অনেক ক্ষমতা। কিসের এত পাওয়ার দেখান? দুই একটা স্যাচরা মাস্তান নামাইয়া দিয়া আমাদের গুলি করবেন? মারবেন? সেদিন চলে গেছে । বেয়াদবি অনেক করেছেন। আমরা মেঘনার জনগন কি আপনার কেনা গোলাম? আপনার ছেলে আমাকে থ্রেড করে গুলি করবে মেরে ফেলবে ৩ তারিখ খেলা হবে আমাদের খুদে ভার্তা পাঠায়। এসব করে মেঘনার আন্দোলনকে আর দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, হে মহান নেত্রী মেঘনার মানুষ আজ পর্যন্ত যতটুকু পেয়েছে আপনার থেকে পেয়েছে, আর যতটুকু পাওয়ার প্রয়োজন আপনার থেকেই পেতে চায়। দাবি মোদের একটাই মেঘনা-হোমনা আসন চাই।
মেঘনা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, হোমনা - মেঘনা আসনটি ১৯৫৪ সাল থেকে বহাল ছিল কিন্তু ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরবর্তীতে মেঘনাকে দাউদকান্দির সাথে যুক্ত করলেও মেঘনা থেকে যায় দাউদকান্দির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এর একটা অনত্যম কারন হলো মেঘনার সাথে দাউদকান্দির সরাসরি কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। অন্য দিকে উন্নয়নের চিত্র যেন সেই আমলের পাকিস্তানের মত দাউদকান্দির উন্নয়ন হলেও মেঘনার উন্নয়ন যেনো দিন দিন পিছিয়ে পড়েছে।
মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন, একটা কুচক্রী মহলের জন্য মেঘনার মানুষ আজ উন্নয়নের জোয়াড় থেকে বঞ্চিত। তিতাশ এবং দাউদকান্দি নিয়ে আমাদের দাবি না আমাদের দাবি মেঘনা ও হোমনা নিয়ে। আমরা বৃহত্তর হোমনার সাথে ছিলাম আমরা হোমনার সাথেই থাকতে চাই। আপনারা জানেন আগামী ৩ তারিক এই বিশকয়ে শুনানী হবে, ইতপূর্বে মেঘনা-হোমনা আসন নিয়ে ৬০টি দরখাস্ত পরেছে এর মধ্যে এখনোই আমাদের পক্ষে ৪৮টি দরখাস্ত পরেছে। এখানে আরও আশ্চার্যের বিষয় হলো আমরা হোমনা ও মেঘনার সকল রাজনৈকিন নেত্রীবৃন্দ একাত্ত্ব হয়ে হোমনা মেঘনা আসন বহালের দাবি জানিয়েছি।
নাসির উদ্দিন শিশির তার বক্তব্যে বলেন,আমরা মেঘনার মানুষ আমাদের ভাগ্যের নির্মাতা আমরাই হবো; দাউদকান্দির খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্মারা নয়। আমাদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেক কিছু করেছেন সামনে আর করতে দেওয়া হবেনা। ৩ তারিখে সকলে যোগদানের আহবান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করলেন।
উল্লেখ, কুমিল্লা-১ এটি জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী আসনের একটি। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৯ নং আসন। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ মেঘনার বাস্তবায় হয়েছিলো। হোমনার ৪ টি ইউনিয়ন এবং দাউদকান্দির ৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিতো হয়েছিলো মেঘনা। এখন মোট ৮ টি ইউনিয়ন সহ ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটার। তবে আসন হয়েছে দাউদকান্দি -মেঘনা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন