দুই সন্তানের জননী। ২৪ বছর বয়সী সাইপ্রাসের এক নারী। বিশ্বাসকে পুঁজি করেই  সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, রাফেলা ল্যাম্পরুউ নামের সাইপ্রাসের ওই নারী মাত্র ৭ মাসেই বুকের দুধ বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে গেছেন। যা কিনেছে বডি বিল্ডারেরা।

 বয়স ২৪ বছর বয়সী এই নারী ব্যবসার কারণেই লাখপতি হয়েছেন তিনি। তবে সাধারন ব্যবসা নয় নিজের বুকের দুধ বিক্রি করেন এই নারী৷ সাইপ্’রাসের এই নারীর নাম রাফেলিয়া ল্যামপ্রোউ ৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফেলা ল্যাম্পরুউ গত ৭ মাস আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান হওয়ার পর নিয়মিত বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন তিনি। তবে এটাও লক্ষ্য করেন যে, সন্তানকে খাওয়ানোর পরও দুধ যথেষ্ট নষ্ট হচ্ছে। তাই ঠিক করেন বাড়তি দুধ তিনি বিক্রি করবেন।

 তখনই নিজের বুকের দুধ দান করার কথা ভাবেন রাফেলিয়া৷ তিনি ভাবেন যেসব বাচ্চারা মাতৃদুগ্ধ পায়না তাদেরকে দান করবেন।সেই থেকে তারপর মাতৃদুগ্ধ ব্যবসায় রুপান্তরিত হয়। 

কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে রাফেলার হয় অন্য অভিজ্ঞতা। দেখলেন, শিশুর মায়েদের চাইতে ব্যায়াম বীরদের দুধের প্রতি বেশি আগ্রহ। শুরুতে পর পর কয়েকজন বডি বিল্ডার তার কাছে বুকের দুধ কেনার জন্য যান।

প্রতিদিন ২ লিটারেরও বেশি দুধ তৈরি ‘হত তার৷ এত দুধ নিয়ে কী করবেন তিনি ভেবে পাচ্ছিলেননা৷ শেষ পর্যন্ত এক দম্পতিকে তিনি সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন৷ সদ্যোজাতের জন্য ওই মায়ের কাছে মাতৃদুগ্ঘের যোগান ছিল খুবই কম

এই সময়ই বেশকিছু বডি বিল্ডার তার কাছে বুকের দুধ কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ শরীরের গ্রোথের জন্য যেহেতু এই দুধ খুবই উপকারি, সে কারণেই বডি বিল্ডারদের কাছে দিনে দিনে মাতৃদুগ্ধের চাহিদা বাড়তে থাকে৷ এরপর থেকেই রাফেলিয়া।তারপর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবসা শুরু করেন রাফেলা।চাহিদা মোতাবেক তাই এদের কাছেই প্যাকেটে বুকের দুধ বিক্রি করা শুরু করেন রাফেলা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে তিনি নাকি প্রায় ৫ কোটি টাকা রোজগার করে ফেলেছেন।

রাফেলিয়ার স্বামী অ্যালেক্সও তার এই কাজে কখনো বাঁধা দেননি বরং বরাবর তিনি সা’পোর্ট করেছেন৷ এখন নিজের একটি ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট চালান রাফালিয়া৷ সেখানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে যে, তিনি ম’দ খাননা, ধূমপানও করেননা৷ এখন অনলাইনেই নতুন মা বা বডি বিল্ডাররা মাতৃদুগ্ধের জন্য তার কাছে আবেদন করেন৷