ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল) ২০২২ এ একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে খেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দক্ষিন আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের খেলা থাকার কারণে প্রথম থেকে না খেলতে পারলেও নিজেদের ওয়ানডে ম্যাচ গুলো শেষ করে আইপিএল-এ যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বছর নিজের অভিষেক ম্যাচে ৫.৮ ইকোনমিক রেইটে ৪ ওভার করে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৩টি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশী এই বামহাতি বোলার। অভিষেক ম্যাচেই জাত চেনালেন মোস্তাফিজ।
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে অভিষেক ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ফিগার ছিল এরকম। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ হলো বাংলাদেশি পেসারের।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ছিল আঁটসাঁট। প্রথম ওভারে ১ উইকেট নেওয়ার পর শেষ ওভারে তার পকেটে যায় আরো ২ উইকেট। বোলিং ইনিংসে মাত্র ১টি বাউন্ডারি হজম করেছেন। ডট বল ছিল ৭টি।
ভারতীয় পেসার কামলেশ নাগারকোটির পরিবর্তে মোস্তাফিজকে দলে নেয় দিল্লি। তিন বিদেশি ও আট স্থানীয় খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামে তারা।
অধিনায়ক রিশাভ পান্ত নতুন বল তুলে দেন মোস্তাফিজের হাতে। বাঁহাতি পেসার প্রথম ওভারেই নেন উইকেট। তার লেন্থ বল জায়গা থেকে সরে স্কুপ করে ফাইন লেগ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন ম্যাথু ওয়েড। আম্পায়ার শুরুতে দিল্লির আবেদনে সাড়া দেননি। মোস্তাফিজ আত্মবিশ্বাসী থাকায় রিভিউ নেন। তাতে মেলে সাফল্য। বল ওয়েডের ব্যাটে লেগে যায় পান্তের হাতে। প্রথম ওভারে ৭ রানে মোস্তাফিজের শিকার ১ উইকেট। ওই ওভারে বিজয় শঙ্কর তাকে একমাত্র বাউন্ডারিটি মারেন।
এরপর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৪ রান খরচ করেন। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজকে ফেরান পান্ত। এই ওভারেই ধারালো বোলিংয়ে গিল ও মিলারদের চাপে রাখেন। কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি।
ওয়াইডসহ ওভারে খরচ করেন ৯ রান। শেষটা ছিল বিষাক্ত। ইনিংসের শুরুর মতো শেষটাও হয় মোস্তাফিজের হাত ধরে। বোলিং বৈচিত্রে দিশেহারা ব্যাটসম্যানরা। তার কাটারে শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান নিতে পারে গুজরাট। মোস্তাফিজের পকেটে যায় রাহুল তেওয়াতিয়া ও অভিনাব মনোহারের উইকেট। মোস্তাফিজের বোলিংয়ে ধার থাকলেও দিল্লির অনান্য বোলাররা ছিলেন বেহিসেবী। তাতে গুজরাট লড়াকু পুঁজি পেয়েছে। শুভমান গিলের ৪৬ বলে ৮৪ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট। দিল্লির হয়ে খলীল আহমেদ ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৩৪।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন