ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে নিহত দিদারুলকে (৩০) মাদকের টাকা নিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতাররা হলেন- শরাফ উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৫) ও আব্দুর রশিদের ছেলে মো. খোকন ওরফে খোকা মিয়া। দুজনই সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আর নিহত দিদারুল ইসলাম মুক্তাগাছা উপজেলার কাঠবওলা উপজেলার মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে।শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে আনা হলে দুজনেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বিকেল ৪টায় জেলা গোয়েন্দা শাখার পাঠানো এক সংবাত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সুমন মিয়াকে ভালুকা থেকে এবেং একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদরের ভবানীপুর কোনাপাড়া থেকে মো. খোকন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গত ৩ মার্চ রাত ৯টার দিকে দিদারুলের মরদেহ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার ৩১ নং নম্বর ওয়ার্ডের চর জেলখানার ঘাট এলাকা থেকেউদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন ৪ মার্চ নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমানের বাবা বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলা পর দীর্ঘ তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সুমন মিয়া ও খোকন ওরফে খোকা মিয়া নামে দুজনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, দিদারের কাছে মাদক বিক্রির টাকা পাওনা ছিল। এই টাকার জন্য দিদারকে বেড়িবাঁধ এলাকায় ডেকে এনেবলেন। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার মরদেহ বেড়িবাধেঁ ফেলে পালিয়ে যান তারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন