নওগাঁয় সদর শিকারপুর ইউনিয়নের নামাহাতাশ গ্রামে মামা অরুণ সাহানাকে (৫৪) কোদাল দিয়ে গলাকেটে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নামাহাতাশ গ্রামের মৃত নরেনের ছেলে নয়ন (১৭) নামের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করেছে থানা পুলিশ হয়।
মঙ্গলবার (৪ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন সোমবার (৩ মে) তাকে উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নামাহাতাশ গ্রামের থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। নিহত অরুণ সাহানা একই গ্রামের মৃত রুপচানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, অরুন সাহানা কৃষি কাজ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১ মে তিনি রাতের খাওয়া শেষ করে রাত ৯টায় বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পশ্চিমে ভরি নামের এক ব্যক্তির খলিয়ানে থাকা ধান পাহারা দেয়ার জন্য যান।
পরদিন ২ মে সকাল সাড়ে ৫টায় স্ত্রী রেবতী স্বামীকে ডাকার জন্য সেখানে যান। এসময় তিনি অরুণের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবলু কুমার ওরুফে পুলক একইদিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান মিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের নির্দেশনা দেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রকিবুল আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এ কে এম মামুন চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সাঈদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল, মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জান্নাত শাহ ও এসআই জামাল উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্সে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন।
সোমবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অরুণ সাহানার ভাগ্নে নয়নকে এলাকা থেকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন