মঙ্গলগ্রহে সফলভাবে একটি ড্রোন ওড়াতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষনা সংস্থা- নাসা।ইনজেনুইটি নামে ড্রোনটি এক মিনিটের কম সময় ধরে বাতাসে ভেসে ছিল। তবে নাসা ঘটনাটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করছে কারণ অন্য কোনো গ্রহে এটি প্রথম কোনো আকাশযান ওড়ার ঘটনা।এই ওড়ার বিষয়টি নাসা নিশ্চিত হয়েছে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যা ড্রোনটির তথ্য পৃথিবীতে পাঠায়।সামনের দিনগুলোতে মঙ্গলে আরও দুঃসাহসিক ফ্লাইট চালাবে নাসা। ইনজেনুইটিকে আরও উপরে এবং দূরে ওড়ানো হবে কারণ প্রকৌশলীরা এই প্রযুক্তির সামর্থ্য কতটুকু তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
মঙ্গলে কোনো বস্তুকে বাতাসে ভাসানো সহজ নয়। মঙ্গলের বায়ুর ঘনত্ব খুবই পাতলা- পৃথিবীর বায়ুর ঘনত্বের একশো ভাগের একভাগ। এ কারণে ওড়ার জন্য কোনো পাখাওয়ালা যানের ব্লেডগুলো বাতাসের সঙ্গে খুব কম ধাক্কা খায়। তবে ইনজেনুইটিকে খুবই হালকা ওজনে তৈরি করা হয়েছে এবং এর ব্লেডগুলো অতিদ্রুত গতিতে ঘুরতে সক্ষ্মম- প্রতি মিনিটে আড়াই হাজার বার।
আশা করা যায়, দূরের কোনো জগৎ সম্পর্কে আমরা কীভাবে জানবো সে ব্যাপারে এই ড্রোনের প্রাথমিক পর্যায়ের উড্ডয়ন আমাদের আমরা ধারণা দিতে পারবে।ভবিষ্যতে রোভারকে (মঙ্গলে চালিত স্থলযান) সঙ্গ দিতে ড্রোন ব্যবহৃত হতে পারে এমনকি আরও পরে মঙ্গলে নভোচারীরা গেলে তাদের চলাচলেও সহায়তা করতে পারবে।নাসা ইতোমধ্যে শনি গ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ টাইটানেও একটি ড্রোন মিশন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। ড্রাগনফ্লাই নামে মিশনটি ২০৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে টাইটানে পৌঁছাতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন