নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর রূপ, জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ

নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর রূপ, জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ

 

সক্রিয় হয়ে উঠেছে 'নাইরাগঙ্গো' আগ্নেয়গিরি। মধ্য আফ্রিকার দেশ- কঙ্গোর পার্বত্য অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে পড়েছে লাভা। আতঙ্কিত মানুষ দিশেহারা হয়ে পালাচ্ছে জনপদ থেকে। শিগগিরই ২০ লাখ বাসিন্দার গোমা শহরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে সরকার-- এমন ঘোষণা দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এদিকে, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপ সফর বাতিল করে কঙ্গো ফিরছেন প্রেসিডেন্ট।

রাতের আকাশ রক্তিম লাভার উদগীরণে দীর্ঘ উনিশ বছর পর সক্রিয় নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি । লাভা গড়িয়ে নেমে এসেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ- কঙ্গোর সীমান্ত শহর গুলোয় । দেশটির ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা মে মাসের ১০ তারিখে সতর্ক করেছিল অস্বাভাবিক কম্পন ধরা পড়ছে রিখটার স্কেলে।

কিন্তু আমলে নেয়নি দেশটির সরকার আগ্নেয়গিরিটির চার পাশের লোকালয়ে জারি করেনি সতর্কবার্তা। ফলে দিশেহারা মানুষ ছুটছে অজানা আশ্রয়ের সন্ধানে। ঘরবাড়ি বশীভূত মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পালাচ্ছে , কঙ্গো সরকার অগ্রিম সতর্কবার্তা দিলে এই পরিনাম হতো না।

আগুন নিভে গেলেও ঘরবাড়ি ফিরে পাবে না হাজার মানুষ। চোখের সামনে অগ্নিগিরি গ্রাস করেছে গোটা অঞ্চল ১৮ ঘন্টার মধ্যে মায়াঙ্গ এলাকা ঢেকে গেছে লাভায়। আমরা ভাবতেই পারিনি এত বড় বিস্ফোরণ ঘটবে। পার্বত্য লোকালয় থেকে সবাই ছুটছেন কাছেরি গোমা শহরে ।

কিন্তু সেখানেও ধেয়ে আসছে লাভা অবিলম্বে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা শুরুর ঘোষণা সরকারের। ততক্ষণ খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাতে হচ্ছে শিশু থেকে বুড়োদের। গোটা শহর আগুনের উত্তাপে আলোকিত লাভা ছড়াচ্ছে ও লাভা এগোচ্ছে বলেই সবাই দিশেহারা।

২০০২ সালেও বহু ঘরবাড়ি কাছের মানুষকে হারিয়েছি কি করবো কোথায় যাবো বুঝে উঠতে পারছিনা। মায়াঙ্গ গ্রাম থেকে বাসিন্দারা গোমা শহরে আশ্রয়ের সন্ধানে দলে দলে ছুটছে। সেখানকার ঘরবাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সব ছারখার কিন্তু কোথায় মাথা গুজবে তারা তা জানেনা।

সবশেষে ২০০২ সালে আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়। সে সময় কমপক্ষে ২৫০ মানুষ প্রান হারায়। গৃহহীন হন এক লাখ ২০ হজার বাসিন্দা। তারো আগে ১৯৭৭ সালে জেগে উঠেছিল নাইরাগঙ্গো তখন মারা যায় ছয় শতাধিক মানুষ। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password