পরিবারটির আর কেউই বেঁচে রইল না

পরিবারটির আর কেউই বেঁচে রইল না

রাজশাহীর উপকণ্ঠ কাটাখালী থানার পাশে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস এবং লেগুনার সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাপাশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এক পরিবারে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ওই পরিবারের সদস্য নূর মোহাম্মদ। তিনি রাজশাহী সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।

নূর মোহাম্মদ বলেন, বড় মজিদপুর এলাকায় তার সেজবোন নাজমা খাতুন থাকতেন। কিছুদিন আগে কথা হয় তারা রাজশাহী আসবেন তার বাসায় বেড়াতে। নাটোরে এসেও নাজমা ফোন দেন তার ভাই নূর মোহাম্মদকে। কিন্তু পথেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

নিহতরা হলেন-নুর মোহাম্মদের দুলাভাই মো. ফুলমিয়া (৩৫), স্ত্রী মোসা. নাজমা খাতুন (২৮), ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (১৩), মেয়ে মোসা. ছামিহা (৮) ও মোসা. সুমাইয়া (৪)। নিহত ফুলমিয়া ব্যবসায়ী ছিলেন।

ঘটনাস্থলে এসে কাউকে জীবিত পাননি নুর মোহাম্মদ। সবাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন। এই দুর্ঘটনায় চালকসহ মোট ১৭ জন মারা যান। লাশগুলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দুর্ঘটনার আগে কালো রংয়ের একটি মাইক্রো হানিফ পরিবহনের বাসকে রং সাইডে ক্রস করে চলে যায়। এতে হানিফ পরিবহনের বাসটি কাটাখালী থানার দিকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। অন্যদিকে রংপুর থেকে আসা আরেকটি মাইক্রো উপায় না বুঝে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোটিতে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণ পর লেগুনাতেও আগুন ধরে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে কাটাখালী থানা পুলিশ বলছে, ঘটনাটিতে ১৭ জন মারা গেছে। সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বোনের পুরো পরিবারই মারা গেছে। তাদের সঙ্গে থাকা আত্মীয় ও অন্যান্যরাও মারা গেছেন। তাদের লাশ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, মাইক্রোবাসটিতে ১১টি লাশ পাওয়া গেছে। তবে তিন শিশুর লাশ প্রচণ্ড আগুনে হয়তো গলে গেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়। পরে বিকেল চারটার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে থাকা বাসগুলো সরিয়ে নেয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password