ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপটি।বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলে জেগে ওঠা সৈকত এটি।চরফ্যাশন থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং নদী পথে ১৫ কিলোমিটার দূরে তাড়ুয়া সমুদ্র সৈকত। সদরঘাট থেকে লঞ্চে যাওয়ার সময় প্রথম ডানদিকে পড়বে কেরানীগঞ্জ, সামনে গেলে বামদিকে ফতুল্লা শহরের আলো,প্রায় ৩ ঘন্টা যাওয়ার পর দেখা যাবে চাঁদপুরের মোহনা।
এখানে পদ্মা ও মেঘনা নদী মিলিত হয়েছে। মাঝে মাঝে দেখা যায় জেলেরা নিজেদের মতো করে ছোট ছোট নৌকায় মাছ ধরছে। প্রতিটি লঞ্চে খাবার হোটেলে ও টি স্টল আছে। রাতে চাঁদের আলো নদীতে পড়ে চিকচিক করার রং সত্যি মনকে অন্ন্যরকম প্রশান্তুি দিবে। তাড়ুয়া দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা জুড়েই নয়নাভিরাম ম্যানগ্রোভ বন। এটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতোই কোন অংশ মনে হবে, এছাড়াও দেখতে পাবেন বড়ই গাছের বাগান, জোয়ার ভাটার প্রভাব, রাতে জোনাকী পোকার আলোক সজ্জা, বর্ষাকালে ইলিশ মাছ আহরণ, ঢেউয়ের খেলা, সাদা বালি, এই সৈকতের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুয়াকাটার মতো।
এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। সত্যি অন্যরকম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। সমুদ্রের তীর ধরে হাঁটলে দেখা যায় ছোট ছোট অনেক গর্ত । এগুলোতে লাল কাঁকড়া তৈরি থাকে এরা লাজুক প্রকৃতির কাছাকাছি আসা দেখলি গর্তে লুকিয়ে পড়বে। এরা নিজের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে কখনো আশ্রয় নেয় না। আপনি চাইলে এখানে রাতে থাকতে পারেন তাবু করে এতে বেশী মজা হয় অথবা থাকার জন্য টিনের রিসোর্ট, রান্নার ব্যবস্থা, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ আছে। রুমের জন্য অবশ্যই আপনাকে কথা বলে যেতে হবে। রাতের আঁধারকে আলোকিত করতে সৌরবিদ্যুত এর ব্যবস্থা আছে।
অতএব ছুটিতে আপনার পরিবার বা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। যেভাবে যাবেন তাড়ুয়া দ্বীপে - ঢাকা সদরঘাট থেকে চরফ্যাশন বেতুয়া ঘাট পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে প্রতিদিন। বেতুয়াঘাট থেকে সড়কপথে কচ্ছপিয়া পর্যন্ত বাসে বা বাইকে যেতে সহজ। কচ্ছপিয়া থেকে লঞ্চ বা ইঞ্জিন নৌকায় করে যেতে পারেন ঢালচর। সেখান থেকে নৌকায় তাড়ুয়া আর সেই নৌকায় করেই পৌঁছে যাবেন এই সৈকতে। যাত্রার আগে তাই মাঝির সঙ্গে কথা বলে নিবেন অথবা আপনি চাইলে সরাসরি তাড়ুয়া দীপে যেতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন