ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কাপাসিয়ার টোক গ্রামের মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। এর আগে চাকরির প্রলোভনে গতকাল সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিল লাবনী। ওই দিন রাত ৯ টা পর্যন্ত লাবনীর সাথে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন গতকাল সোমবার সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আল মামুনুর রশিদ।তবে তার সাথে থাকা ওড়না ও ব্যাগ সহ অন্যান্য আলামত নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষনিক ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। সে অনুযায়ী তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল মর্গের হিমঘরে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করে তার বাবা আব্দুল লতিফ এবং ভাই মোক্তার মিয়া।
এর আগে গত সোমবার মর্গে ওই নারীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই নৌ থানার উপ-পরিদর্শক অলক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর নৌ থানার ওসি আবদুল্লাহ-আল মামুনকে।
তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, স্বজনরা শনাক্ত করার পর ওই নারীর লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। অভিযুক্ত ঘাতককে শনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন