নওগাঁর ধামইরহাটে আদিবাসী যষ্টি বারোয়ারের জমিতে রাসায়নিক প্রয়োগ করে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে যষ্টি বারোয়ার সুবিচারের দাবীতে ধামইরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের চকমুগলিশ (বেড়াতলী) গ্রামের মৃত বেরগা বারোয়ারের পুত্র যষ্টি বারোযার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ভাতগ্রাম (মালপুকুরিয়া) গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সহ আরো ৫/৬ জন গত ২৮ এপ্রিল রাতে চকমুগলিশ (বেড়াতলী) মৌজার সিএস ২১ নম্বর খতিয়ানের ৪ একর ২৮ শতক জমিতে রাসায়নিক স্প্রে করে ধান নষ্ট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এতে যষ্টি বারোয়ারের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
যষ্টি বারোয়ার জানান, ‘২০১৮ সালে নওগাঁ জেলা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর আদালতে বিবিধ কেস নম্বর -০৮/১৮ (ধামইরহাট) রুজু হলে, বিজ্ঞ আদালত ২৯/৬/১৯৫৬ তারিখের ৫৩৫৭ নং সৃষ্টি করা আঃ রহিম বরাবর হস্তান্তর করা দলিলটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সম্পাদন হওয়ায় ১৯৫০ এর ৯৭ (৭) ধারার বিধানমতে বাতিল ঘোষণা করেন। ‘ধান পাকার মুহূর্তে বিষ প্রয়োগে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করায় যষ্টি বারোয়ার অর্থকষ্টে পড়েছেন। তিনি ধানে বিষ প্রয়োগকারীদের সমুচিত শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ’যে জমি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে সেগুলো আমারই জমি, আর যষ্ঠি বারোয়ারই আমার জমিতে জোর করে ধান লাগিয়েছে, আদালতের মামলায় তারাই হেরে গেছে, এখনও মামলা চলমান আছে, পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে তারাই জমিতে কিটনাষক দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মমিন জানান, এ ধরনের অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন