বরখাস্ত করায় বসের সন্তান অপহরণ করলো পিওন

বরখাস্ত করায় বসের সন্তান অপহরণ করলো পিওন

অফিসের পিওনকে বরখাস্তের জেরে কর্মকর্তার শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। ছয় ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীকে পিওনকে  গ্রেপ্তার ও ভিক্টিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা।

গ্রেপ্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান (১৮) শেরপুর সদরের ডুবারচর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরস্থ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে কর্মরত র‌্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানীর কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, অপহরণকারী মোস্তাফিজুর গাজীপুর মহানগরীর ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের পাশে অবস্থিত এলএফ সিকিউরিটি নামক প্রতিষ্ঠানে পিয়ন পদে চাকরি করতেন। ভিক্টিমের বাবা ওই অফিসেরই রিক্রুটিং অফিসার। তাদের উভয় পরিবারের লোকজন গাজীপুর মহাগরের আউটপাড়া এলাকায় শওকত মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

অপহরণকারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, চারদিন আগে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চুরির দায়ে ভিকটিমের বাবা মোস্তাফিজুরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এর জেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো চাকু কেনেন মোস্তাফিজ। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাসার নিচে খেলা করার সময় সুযোগ বুঝে নিশাতকে অপহণ করে ঢাকার মহাখালীতে নিয়ে যায়।

মহাখালী গিয়ে ভিকটিমের বাবাকে মোবাইলে নিশাতকে অপহরণের কথা জানান এবং তার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলে জানানো হয় ফোনে।

ছেলে অপহরণের খবর পেয়ে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে বাসন থানায় একটি অভিযোগ করেন বকুল মিয়া এবং র‌্যাব-১ এর কাছে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য আইনগত সহায়তা চান। এরপর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করেন এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন।

পরে মোস্তাফিজের কথামতো ভিক্টিমের বাবা মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার সময় গাজীপুর জেলার চন্দ্রা এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় কৌশলে অভিযান চালিয়ে এবং একটি সুইচ গিয়ারসহ অপহরণকারীকে আটক এবং তার হেফাজত থেকে ভিকটিম নিশাত বাবুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password