ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝালকাঠি জেলা শহর প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বেগে রাতে বেশ কয়েকবার হানা দেয় ঝড়। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়ে। গ্রামাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা বাড়ি ঘর। ভেসে গেছে মাছের খামার। নিম্ন অঞ্চলের প্রায় ৫০/৬০ গ্রাম পানিবন্দি রয়েছে। নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি ৫ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পায়। নদী পাড়ের ঘর বাড়িগুলো তলিয়ে যায়। ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। গাছপালা ভেঙে ছিড়ে যায় বিদ্যুতের তার। জেলা শহরের কিছু এলাকায় ১৮ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায়। তবে এখনও জেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায়নি। সকালে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো নিজের বাড়ি ফিরে আসে। জেলায় কী পরিমান ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চাল ও নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেলা খাদ্য গুমাদে এ সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রাশাসক মো. জোহর আলী। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, এনডিসি আহমেদ হাছান বাংলাদেশ স্কাউটস আঞ্চলিক উপ-কমিশনার ডিআরসি (সমাজ ও উন্নয়ন) হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন। এসময় ২১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ১ বান টিন ও ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রেম ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাষ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন