বর্তমানে দেশের বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেন্জের কথিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজধানীর বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা আজ শনিবার ভারত-নেপাল সামান্তে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ) এর কতিপয় সদস্যের হাতে আটক হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে এবিষয়ে গনমাধ্যমকে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে প্রথমে বিএসএফ আটক করে। পরে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভারতীয় কুচবিহার ভিত্তিক গণমাধ্যম উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামে একটি অনলাইন পোর্টাল এই সংবাদটি প্রকাশ করেছে।১ প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে, সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যদিকে, তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় একলাখ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির নামে ১১শত কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করে, ইতোমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রধান তিন আসামী সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বী মাসুকুর রহমান, সিইও মোঃ আমানুল্লাহ।১ মূলত ই-অরেন্জের সাবেক সিইও নাজমুল আলমকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রিমান্ডে নিলে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলের সম্পৃক্ততার কথা।
আরো জানা যায়, সোহেল রানার ছত্রছায়ায়ই মূলত ই-অরেন্জের ব্যবসাটি পরিচালিত হতো। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সোহেল রানা গা ঢাকা দেয়। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আজম মিয়াও তার(সোহেলের) কর্মস্থলে (থানা) না আসার বিষয়টি স্বীকার করেছে।১ সোহেলের আটক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিবি পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, "শুনেছি সোহেল রানা আটক হয়েছে ভারতে, তবে বিএসএফ এর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি। "
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন