করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নওগাঁ জেলাজুড়ে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত ১৫টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আর এ বিধিনিষেধের মধ্যে সব চায়ের স্টল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্মহীন এসব মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে নওগাঁ পৌরসভার এলাকাগুলো পরিদর্শনে বের হন। তার গাড়ি আসতে দেখে অনেক দোকানি চায়ের দোকান স্টল বন্ধ দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আবার কেউবা দোকান খোলা রেখে পালানোর চেষ্টা করেন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভার ২৫০টি চা স্টলের দোকানদারের প্রত্যেককে নগদ ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহয়তা দেয়া হয়।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে নওগাঁ পৌরসভার এলাকাগুলো পরিদর্শনে বের হন। তার গাড়ি আসতে দেখে অনেক দোকানি চায়ের দোকান স্টল বন্ধ দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আবার কেউবা দোকান খোলা রেখে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন জেলা প্রশাসনের টিম তাদেরকে ডেকে নাম, মোবাইল ফোন নম্বর ও স্বাক্ষর নিয়ে তাদের হাতে ১ হাজার করে টাকা তুলে দেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই এক হাজার টাকা দিয়ে বাজার করে সংসার চালানোর জন্য বলা হয়। এ ছাড়া ১৬ জুন পর্যন্ত চায়ের দোকান বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভার বাটার মোড়, তাজের মোড়, ব্রীজের মোড়, মুক্তির মোড়, রুবির মোড়, হাসপাতাল রোড, দয়ালের মোড়সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ২৫০ টি চা দোকানের দোকানিকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা হিসেবে এক হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে যাতে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত তারা যেন দোকান না চালু করে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ জানান, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলাজুড়ে ১৫টি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের স্টলগুলোতে মানুষ অকারণে বসে থাকে যার কারণে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই চায়ের স্টলগুলো ১৬ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে করে কর্মহীন এসব মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত চা দোকানিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে আর্থিক সহায়তা দেয়ার জন্য।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন