রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলা ব্লক’। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল রাজপথ। আজও বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শাহবাগে সড়ক অবরোধে যানজটে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
কাল আবারও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের। রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়ে চলে গেছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত প্রায় ৪০ মিনিট শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। শাহবাগ ছাড়ার আগে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন' এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল তিনটা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো৷ রবিবার বিকেল তিনটা থেকে শাহবাগ, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, চানখারপুল, মতিঝিলসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ব্লক করা হবে। এ সময় নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও আদালতকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী বিভাগ তার দায় এড়াতে পারে না৷ কোটা কেন আবার ফিরে এল? কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে? দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করব৷ এটা শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়৷ শিক্ষক-অভিভাবকদেরও আন্দোলনে নেমে আসতে হবে।’
এর আগে শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে আজিমপুর, ইডেন কলেজ, হোম ইকোনমিকস কলেজ, নীলক্ষেত মোড় হয়ে আবারও টিএসসি প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে এসে শেষ হয়।
পরে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন