বৃষ্টির আশঙ্কা ২৯ এপ্রিল

বৃষ্টির আশঙ্কা ২৯ এপ্রিল

আগামী ২৯ এপ্রিল পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ থেকে প্রবাহিত হয়ে যাবে একটি শক্তিশালী গ্রহাণু। নাসার পক্ষ থেকে এ গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে অংঃবৎড়রফ ৫২৭৬৮ বা ১৯৯৮ঙজ২.

যদিও এ গ্রহাণুটি সরাসরি পৃথিবীর ওপর কোনো ধরনের আঘাত হানবে না এবং পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে এর দূরত্ব হবে আনুমানিক চার লাখ মাইলের মতো; যা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ১৬ গুণেরও বেশি। এ ছাড়া পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ৩.৯ লাখ মাইলের অভ্যন্তরে এ গ্রহাণুটি আসবে না কিন্তু এর বিশাল আকৃতির জন্য কিছুটা হলেও শঙ্কা থেকে যায়। আনুমানিক ১.১ থেকে ২.৫ মাইল ব্যাসবিশিষ্ট এ গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ২০ হাজার মাইল বেগে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যাবে, যার প্রভাবে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে বলে কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করছেন।

একই সঙ্গে এ গ্রহাণুর প্রভাবে পৃথিবীর অনেক জায়গা সাময়িক সময়ের জন্য সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হতে পারে এবং একই সঙ্গে সৃষ্ট অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে পৃথিবীর এসব অঞ্চলে চাষাবাদের ক্ষেত্রেও বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন। যদিও নাসার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সরাসরি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলা হয়নি। বিভিন্ন কারণে একটি গ্রহাণু তার গতিপথের পরিবর্তন করতে পারে।

যেমন- চলার পথে কোনো নির্দিষ্ট গ্রহের কিংবা বৃহৎ উল্কাপিন্ডের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে এটির গতিপথ পরিবর্তিত করতে পারে। আবার ইয়ারকোভজি ইফেক্টের কথাও অনেকে বলেছে। অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাবে গ্রহাণুটির তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটতে পারে। এর ফলে গ্রহাণুটি ঘুরে যেতে পারে, এমনকি কক্ষপথেরও পরিবর্তন করতে পারে। অর্থাৎ ইয়ারকোভজি ইফেক্ট। হয়তোবা সাময়িকভাবে মনে হচ্ছে যে, ৪০ হাজার মাইল বিশাল দূরত্ব কিন্তু যে কোনো সময়ের গতিপথের পরিবর্তন কিংবা তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বিশেষ করে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ওপর একটি প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password