বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল, ব্রয়লার মুরগি ও ডিম, রাজধানীতে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দামে নেই স্বস্তি। সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরণের সবজিরই দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। অস্থিরতা কমেনি মাছের বাজারে। কেজিতে বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। দেশি পুরোনো জাতের পেয়াজের যোগান বেশ কমেছে। মুড়িকাটা বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকার আশাপাশে।
রাজধানীর খুচরা পর্যায়ের বাজার ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়। রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পুরান আলু বিক্রি হয় ৬০ টাকা, যা ৭ দিন আগে ৫৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি নতুন আলু কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকার ৩ লাখ ৬ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতিপত্র দিলেও এ পর্যন্ত দেশে আলু এসেছে প্রায় ৬১ হাজার টন। দাম না কমলে সরকার আবার আলু আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা, যা ৭ দিন আগে ১৭০ টাকা ছিল।
প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫ টাকা। পাশাপাশি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি হলুদ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা ৩০০ ও আমদানি করা আদা ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ ও আমদানি করা ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা। এদিকে নতুন করে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম বাড়তে শুরু করেছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, যা ৭ দিন আগেও ৪২-৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১৬৫-১৭৫ টাকা ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এখন দাম কমে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা ও ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে পণ্য কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে কিছু পণ্যের দাম একটু কমলেও একাধিক পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। মনে হচ্ছে বিক্রেতারা একটি পণ্যের দাম কমিয়ে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে সেই বাড়তি মুনাফা করছে। তাই তদারকি সংস্থার এদিকে নজর দিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন