দুই স্ত্রী রেখে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেম। পরে শারীরিক সর্ম্পক। আর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ। সবশেষ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষপানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি বলছে, ধর্ষণে জড়িত থাকতে পারে হাফিজুরের বন্ধুরাও।
ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় রংপুরে আত্মহত্যা করা স্কুলছাত্রীর পরিবার ভয়ে এলাকা ছাড়া। মূল অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রংপুরের বদরগঞ্জ থানার কাঁচাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলেন লোহানীপাড়া ইউনিয়ের সাবেক মেম্বার ইউনুস আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান।
আগের দুইজন স্ত্রী থাকলেও এই শিক্ষার্থীর সাথে বেশ কয়েকবার শারীরিক সর্ম্পকে মিলিত হন হাফিজুর রহমান। শারীরিক সর্ম্পকের এই ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন হাফিজুরের বন্ধু বিপুল চন্দ্র।
ধর্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, সে (স্কুলছাত্রী) আমাকে খুব পছন্দ করতো। সে আমাকে বলতো তুমি যা চাও তাই হবে। আমার কোনো সমস্যা নেই। প্রথম স্ত্রীর সমস্যা থাকায় সে অন্যখানে বিয়ে করেছে। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করি, সে আমার এ সম্পর্কের কথা জানে।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বন্ধু বিপুলের বাড়িতে নিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেন হাফিজুর। হাফিজুরের বন্ধুরা মিলে ভাইরাল করে ভিডিওটি। এই ঘটনা জানাজানি হলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিষপানে আত্নহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী।
সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, এই মেয়েটির সাথে সে প্রেম করে, প্রেমের এক পর্যায়ে সে তাকে ধর্ষণ করে। এবং তার এক সহযোগী বিপুল চন্দ্র গোপনে ভিডিও ধারণ করে। এরপর সে প্রায়ই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির বয়স কম এবং গরীব পরিবারের হওয়ায় লোক লজ্জার ভয়ে বিষপান করে গত ৫ জানুয়ারি।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে ভিকটিমের পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন। ভিডিও ধারণকারী হাফিজুরের বন্ধুদের ধর্ষণে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে সিআইডি।
সিআইডি এই ঘটনায় জড়িত হাফিজুর রহমানকে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন