মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি,এমপি পুত্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ

মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি,এমপি পুত্রের গাড়িতে হামলার অভিযোগ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পৌরশহর। আজ রবিবার দুপুরে পৌরমেয়র ও এমপিপুত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও গাড়িতে হামলা হয়েছে বলে একে অপরকে দায়ী করছে। এ অবস্থায় পুরো শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র।

স্থানীয় সুত্র জানায়, ৭ই মার্চ পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। দুপুরের দিকে স্থানীয় হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে দিবসটির মূল অনুষ্ঠান চলছিল। ওই অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ। আলাদা অনুষ্ঠানে ছিলেন নবনির্বাচিত পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। তখনি প্রচার হয় এমপিপুত্র রাজিবের গাড়িবহর থেকে মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। অন্যদিকে এমপি পুত্রের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো শহর। 

মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুলের তোড়া দিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে চলে আসার সময় কিছুদূরে অবস্থান করা এমপি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র তানজির আহম্মেদ রাজিব তাঁর দলবলকে নির্দেশ দেয় আমাদের পথরোধ করে হামলা চালানোর জন্য। এ সময় তাদের অস্ত্রের মহড়ায় ভীত হয়ে অনেকে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করলে এমপিপুত্র রাজিব নিজের গাড়ির ভরতর থেকে নির্দেশ দেয় তাঁকে গুলি করার জন্য। এ সময় সহনাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া গুলি করে। এতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবলীগ নেতা দেলোয়ার। এ অবস্থায় আমি অলৌকিকভাবে বেঁচে যাই।

অপরদিকে এমপিপুত্র রাজিব জানান, তিনি দীর্ঘদিন পর নিজ এলাকায় আসেন ৭ই মার্চ পালন করতে। এ উপলক্ষে শাহগঞ্জের একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে রওনা হন। পথে গৌরপুরের বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্রই তার গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা চালায় মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সময় রেলাইনের পাথর ছুড়ে হামলা চালায় তারা। এতে তাঁর অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে তাঁর জিপটি ভাঙচুর করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ এলে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। 

এ বিষয় নিয়ে আজ রবিবার বিকেলে পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাকে হত্যা করার উদ্দ্যেশ্যেই এমপিপুত্র হামলা চালায়। তাঁর নির্দেশেই ডাকাত দুলাল গুলি করে। তাঁর সাথে ছিল সোয়েব মুন্সি ছাড়াও অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী। 

তবে গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দীকি বলেন, গুলির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এমপিপুত্রের গাড়িবহরে হামলা চালানোর সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধার উপক্রম হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আর বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password