ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না টুম্পা খাতুন নামের এক বোনের। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ভাই-ভাবিকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া মুরাদের পাম্পের কাছে মালবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় টুম্পা। এ সময় সৌভাগ্য ক্রমে বেঁচে যায় তার মেয়ে ও স্বামী আবু সামা।নিহত টুম্পা পুঠিয়া পৌরসভার কাঁঠালবাড়িয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবু সামার স্ত্রী।
টুম্পার স্বজনরা জানান, নিহত টুম্পার ভাইয়ের বিয়েতে বড়যাত্রী হয়ে তিনি তার স্বামী ও মেয়ে তোয়াসহ আত্মীয় স্বজনেরা বিয়েতে যান। বিয়ে শেষে ভাবিকে নিয়ে বড়যাত্রীসহ মোটরসাইকেলে নিহত টুম্পা ও তার স্বামী আবু সামা মেয়েসহ বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া পাম্পের কাছে পৌছানো মাত্রই আবু সামার মোটরসাইকেলের সঙ্গে বরযাত্রীর অপর এক মোটারসাইকেল পাশাপাশি থাকায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা আবু সামা ও তার স্ত্রী টুম্পা মেয়ে তোয়া মহাসড়কে ছিটকে পড়ে।
এ সময় অপর দিক থেকে একটি মালবাহী ট্রাকের চাকায় টুম্পা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় নিহত টুম্পার স্বামী সামা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হন। আহত সামাকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে শিশু তোয়ার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে থেকে ট্রাকটিকে আটক করে।
এ ব্যাপারে শিবপুর পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, নিহতের আত্মীয় স্বজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ট্রাক ড্রাইভার বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন