ময়মনসিংহে বাবা শাহা আলীর (৭০) আকস্মিক মৃত্যুর ছয় ঘণ্টা পর ছোট ছেলে আব্দুল মালেকের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে শাহা আলীর বড় ছেলে আব্দুল বারেক (৪৫) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার গাড়াজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হঠাৎ বাবা-ছেলের এমন মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
গাড়াজান গ্রামের বাসিন্দা ও নিহতদের প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম জানান, সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ শাহা আলীর মৃত্যু। পরে একই দিন বাদ মাগরিব মরহুমের দাফন শেষ হয়। এর দুই ঘণ্টা পর মৃত শাহা আলীর ছোট ছেলে আব্দুল মালেক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
এ দিকে, মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বাদ আছর ছোট ছেলে আব্দুল মালেকের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বাবা ও ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে মঙ্গলবার শাহা আলীর বড় ছেলে আব্দুল বারেক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হঠাৎ বাবা-ছেলের কাছাকাছি সময়ে এমন মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই বাবা-ছেলের এমন মৃত্যুকে করোনা ভাইরাস হিসেবে সন্দেহ করছেন।
বিষয়টিতে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, শাহা আলী স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে। তবে ছোট ছেলে হয়তো স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। আর সেই শোকে বড় ছেলে স্ট্রোক করেছে। এর বাইরে কিছু নয়। করোনা ভাইরাসের কোনো নিদর্শন সেখানে পাওয়া যায়নি, তাই আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, ‘বাবা ও ছেলের কাছাকাছি সময়ে মৃত্যুর বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা ওই পরিবারের প্রতি বিশেষ নজর রাখছি।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন