ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরীকে অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মফিলত হোসেনের ছেলে মকিম উদ্দিন, রিকশাচালক আব্দুল মালেক ও রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সুমন। অপর একটি ধারায় এই তিনজকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে রানীশংকৈল উপজেলার গোগর গ্রামের রিকশাচালক মমতাজ আলীর বাড়িতে যান পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মকিম উদ্দিন। মকিম উদ্দিন মমতাজ আলীর কিশোরী কন্যাকে (১৪) তার বাবার দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে রিকশায় করে তুলে নিয়ে যান। পথিমধ্যে জগথা রেললাইনের পাশে সখিনা বেগমের বাড়িতে মুখে কাপড় বাঁধা পাঁচ যুবক ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে ছেড়ে দিলে সে বাড়ি ফিরে আসে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে রানীশংকৈল থানায় অপহরণ ও গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আসামি মকিম উদ্দিন, আব্দুল মালেক, সুমন ও সখিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। আসামি সখিনা বেগম মৃত্যুবরণ করায় তাকে এ মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন