প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন

প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন

রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামে গত ৭ আগষ্ট বাড়ীঘর, দোকানপাট, ও মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাায় বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান ২৭ আগষ্ট বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মতবিনিময় করেন। 

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, শিয়ালীতে দুস্কৃতকারী কর্তৃক হামলার ঘটনার মুল হোতাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আগষ্ট মাস আসলেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা মাথা উচু করে দাড়ানোর চেষ্টা করে, নাশকতা মূলক কর্মকান্ড সৃষ্টির লক্ষে তৎপর থাকে। শেখ হাসিনার সরকার  জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদীদের কঠোর হস্তে দমন করতে সকল সময় প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনা সরকারের সুনাম বহিবিশ্বের কাছে নষ্ট করার জন্য রূপসার শিয়ালীতে এই ন্যাক্কার জনক, বিবেক বহিঃর্ভূত ও ক্ষমাহীন এ কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। এই অপশক্তি কে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। শেখ হাসিনা সরকার ১৩ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থেকে দেশে যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও জামাত গোষ্টি শেখ হাসিনা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা মূখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এদের  ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপি, জামাত কে এ দেশের জনগন চায় না বিধায় পর পর কয়েকটি নির্বাচনে দেশবাসী তাদেরকে বয়কট করেছে। অবশেষে তারা পরাজিত হয়ে সরকারের নামে মিথ্যা ও প্রতারনা মূলক কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। 

 মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত কুমার অধিকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, রূপসা থানার ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ ফরিদ আহম্মেদ,সাবেক ছাত্রনেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ। স্বাগত বক্তৃতা করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শক্তিপদ বসু। পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোজাফফর মোল্লা, উপ-প্রচার সম্পাদক খায়রুল আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলু, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য অমিয় অধিকারী, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, চেয়ারম্যান সাধন অধিকারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল মিত্র, এমডি রকিব উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, রেজাউল ইসলাম রেজা, আওয়ামীলীগ নেতা আ: গফুর খান, সোহেল জুনায়েদ, ব্রজেন দাশ, কামরুল ইসলাম সরদার, বাসুদেব রায় চৌধুরী, মঈন উদ্দিন, রতন মন্ডল, শিপন ধর প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password