কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কারণে ভোগান্তি সাধারণ মানুষ। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে দিনভর সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফলে চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, আটকা পড়েন যাত্রীরা।
সড়কেও সৃষ্টি হয় যানজট। অন্যদিকে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনঢ় শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থায় থাকবে। তবে উচ্চ আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
নির্বাহী বিভাগের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে থাকার কথা জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে আজকের চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জানা গেছে, হাইকোর্টের দেয়া রায়ে স্থিতাবস্থার বিষয়ে আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বুধবার এ স্থিতাবস্থা জারি করেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দাবি হাইকোর্টের কাছে নয়, নির্বাহী বিভাগের কাছে। ফলে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তারা। আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজকের কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।’
বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে শাহবাগ মোড়ে চলা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি থেকে এই ঢাবি শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত চলবে। সারাদেশের সকল জায়গায় আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন