রাজধানীর বাড্ডা, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কড়া অবস্থান নিয়েছে পুলিশ-বিজিবি ও র্যাব। কয়েকটি স্থানে ধাওয়া এবং ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেছে। ডিবি হেফাজত থেকে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের কর্মসূচী বাতিলের পর গতরাতে বিক্ষোভের কথা জানায় একটি অংশ। সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আজ এ বিক্ষোভ করার কথা জানায় তারা।
এজন্য সকাল থেকে কড়া পাহারা দেখা যায় পুলিশের। ধানমন্ডিতে বিক্ষোভ শুরু করে কিছু শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক করা হয় বেশ কয়েক জনকে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হবার চেষ্টা করে।এখানেও কয়েক জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া, কয়েকটি ক্যাম্পাসের সামনে তল্লাশি এবং ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, জননিরাপত্তার জন্য সরকারি নির্দেশে পুলিশ মোতায়েন এবং সন্দেহভাজনদের আটক করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর আজ সোমবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর আজ সোমবার রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে আজ সোমবার দুপুরে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ইসিবি চত্বরে জড়ো হওয়া একদল বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটা করে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হচ্ছে— সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর–১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির। ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসিবি চত্বরে দায়িত্বরত পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলি থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে ও কয়েকজনকে আটক করেছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসিবি চত্বরে জড়ো হওয়া একদল বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটা করে পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে ।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলি থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে ও কয়েকজনকে আটক করেছে। উত্তরা থেকে সংবাদদাতা জানান, সেখানে বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন রাস্তা ও গলিতে কিছু মানুষকে দেখা যায়। তবে মূল সড়কে কাউকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নামতে দেখা যায়নি।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক গতকাল রোববার এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হচ্ছে— সায়েন্সল্যাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আট নম্বর গেট, প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর ১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, , রামপুরা ও মহাখালী। সকাল থেকেই এসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারের টহলও দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন